গ্রেস কটেজ একটি সরকারি ভবন ও ঐতিহ্যবাহী স্থান।[১] এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের চাঁদ সড়কের পাশে বৌবাজার এলাকার অবস্থিত। ভবনটি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত। এই ভবন হতে নজরুল বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের জন্য বেশকিছু উল্লেখযোগ্য সৃষ্ঠি করেছিলেন। স্থাপনাটি মূলত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কমপ্লেক্সের অন্তর্গত।[২][৩] ২০১২ হতে গ্রেস কটেজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য হেরিটেজ কমিশন কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত।[৩]
ইতিহাস
কাজী নজরুল ইসলাম তার বন্ধু হেমন্ত সরকারের আমন্ত্রণে কৃষ্ণনগরে আগমনের পর ১৯২৬ সালের ৩ জানুয়ারি হতে শহরের গোলাপট্টিতে হেমন্তের বাড়িতে অবস্থান করেন। একই বছর নজরুল গ্রেস কটেজ ভাড়া নেন। এখানে তিনি ১৯২৬ সালের জুন হতে ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবারসহ অবস্থান করেন।[৪][৫] এবাড়িতে তার সন্তান বুলবুলের জন্ম হয় এবং তার মা জাহেদা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।[৬][৭]
ব্রিটিশ আমল হতে গ্রেস কটেজ কৃষ্ণনগরের একটি বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের অংশ। একতলা ভবনটি কমপ্লেক্সের ভিতরে শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের এক কোনায় অবস্থিত।[৩] সংস্কারের পর, ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন ভবনটিকে রাজ্যের ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।[৩] এখানে একটি পাঠাগার আছে। 'সুজন বাসর' নামক একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা বর্তমানে কটেজটির দেখভাল করে।[৫]
বাংলা সংস্কৃতি
গ্রেস কটেজ বাংলা সংস্কৃতির জন্য উল্লেখযোগ্য এবং কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য ভবন।[৫] নজরুল দারিদ্র, ফণী-মনসা, সাম্যবাদী, পূবের হাওয়া'র মত বিখ্যাত কবিতাসমূহ, কাব্যগ্রন্থ এবং মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস এখানে থাকাকালীন রচনা করেন।[২][৫] ‘মৃত্যুক্ষুধা’য় এই বাড়ি এবং কৃষ্ণনগরের পরিচয় আছে। এই বাড়িতে নজরুলের হাতে[৮] বাংলা ভাষায় প্রথম গজল সৃষ্টি হয়।[৯][১০]
চিত্রশালা
-
গ্রেস কটেজের সম্মুখভাগ, সম্মুখশীরে বর্নীত নির্মাণ সাল- ১৯২৩-২৪
-
ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির সূত্র বর্ণীত বোর্ড
-
কটেজের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরনো ভবন
তথ্যসূত্র
|
---|
জীবন | | |
---|
সৃষ্টিকর্ম | কবিতা | |
---|
কবিতা ও সংগীত | |
---|
| |
---|
ছোট গল্প | |
---|
উপন্যাস | |
---|
নাটক | |
---|
প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও সম্পাদিত পত্রিকা | |
---|
অনুবাদ এবং বিবিধ | |
---|
পরিচালিত চলচ্চিত্র |
- ধূপছায়া
- বিদ্যাপতি(১৯৩৭) - কাহিনীকার
- সাপুড়ে (১৯৩৯) - কাহিনীকার
|
---|
সঙ্গীত পরিচালনা ও গীতিকার |
- জামাই ষষ্ঠী (১৯৩১)
- পাতালপুরী (১৯৩৫)
- গৃহদাহ (১৯৩৬)
- গ্রহেরফের (১৯৩৭)
- বিদ্যাপতি(১৯৩৭)
- গোরা (১৯৩৮)
- হাল বাংলা (১৯৩৮)
- সাপুড়ে (১৯৩৯)
- রজতজয়ন্তী (১৯৩৯)
- নন্দিনী (১৯৪১)
- অভিনয় (১৯৪১)
- দিকশূল (১৯৪১)
- মদিনা (১৯৪১)
- চৌরঙ্গী (১৯৪২)
- দিলরুবা (১৯৪২)
|
---|
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ঠতা |
- ‘জ্যোৎস্নার রাত’ (১৯৩১)
- ‘প্রহ্লাদ’ (১৯৩১)
- ‘ঋষির প্রেম’ (১৯৩১)
- ‘বিষ্ণুমায়া’ (১৯৩২)
- ‘চিরকুমারী’ (১৯৩২)
- ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৯৩২)
- ‘কলঙ্ক ভঞ্জন‘ (১৯৩২)
- ‘ধ্রুব‘ (১৯৩৩)
- ‘রাধাকৃষ্ণ’ (১৯৩৩)
- ‘জয়দেব’ (১৯৩৩)
|
---|
|
---|
অভিযোজন | |
---|
স্থান | |
---|
পরিবার | |
---|
স্মারক | |
---|
পুরস্কার | |
---|