গুয়াতেমালার অর্থনীতি স্বল্পোন্নত। এটি একটি বাজার অর্থনীতি যার ভিত্তি ব্যাপকভাবে ঐতিহ্যবাহী অর্থকরী শস্য যেমন কফি, চিনি ও কলার উপর নির্ভরশীল। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ছিল এবং এসময় এর ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটে। কিন্তু জাতীয় ঋণ এবং অন্যান্য কারণে ১৯৮০-র দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নেমে যায় এমনকি অর্থনীতি সংকুচিতও হতে শুরু করে। ১৯৮০-র দশকের শেষ দিকে বেসামরিক শাসনের পুনরাবির্ভাবের কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও পর্যটন বৃদ্ধি পায় ফলে অর্থনীতির খানিকটা উন্নতি ঘটে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের বোঝা এবং বিদেশের সাথে বাণিজ্যের ঋণাত্মক হিসাব অর্থনীতিকে ব্যাহত করতে থাকে। গুয়াতেমালার সরকার কাটা ফুল, "তুষার মটরশুঁটি", ইত্যাদি ব্যতিক্রমী কৃষিদ্রব্য রপ্তানি করাকে উৎসাহিত করে এবং উন্মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও যন্ত্রাংশ-সংযোজন কারখানা সৃষ্টি করে শিল্পক্ষেত্রের বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশটির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালায়। ২১শ শতকের শুরুতে এসে গুয়াতেমালার অর্ধেকের বেশি লোক দারিদ্র্য রেখার নিচে বসবাস করত। প্রবাসী গুয়াতেমালানদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রাই দেশের বৈদেশিক আয়ের মূল উৎসে পরিণত হয়, যা রপ্তানি ও পর্যটন ক্ষেত্রের সমন্বিত আয়ের চেয়েও বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার; গুয়াতেমালার ৩৬% আমদানি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে এবং ৪০% রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়।[৮] গুয়াতেমালার স্থানীয় মুদ্রার নাম কেৎসাল (Quetzal)। দেশটির মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মূল্যমান প্রায় ১২ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের ৮১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। মাথাপিছু মোআউ ৭৭০০ মার্কিন ডলার। সেবাখাত অর্থনীতির বৃহত্তম খাত।