গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। [১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পায়েলগাছা গ্রামে। তার বাবার নাম শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মায়ের নাম আফসারের নেছা। তার স্ত্রীর নাম মাহমুদা চৌধুরী। তাদের দুই মেয়ে, এক ছেলে।
কর্মজীবন
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে প্রেষণে ইপিআরে কর্মরত ছিলেন রাজশাহী ইপিআর সেক্টরের ৭ নম্বর উইংয়ে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বিদ্রোহ করে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ নওগাঁ থেকে একদল ইপিআর সেনা নিয়ে বগুড়ায় যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। রংপুর থেকে বগুড়ায় আসা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দলকে তার নেতৃত্বাধীন দলের একাংশ ৩০ মার্চ অ্যাম্বুশ করে। এ অ্যাম্বুশে পড়ে পাকিস্তানিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে তিনি গোদাগাড়ীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইপিআর সেনাদের সঙ্গে মিলিত হন। তাদের নিয়ে রাজশাহীতে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রস্তুতি নেন। ইপিআর সেনা ও স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে আক্রমণ চালান। তার সার্বিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেন। ১২ এপ্রিল গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একদল সহযোদ্ধা নিয়ে পাবনার দিকে অগ্রসর হন। পথে ঢাকা থেকে আগত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বড় দলের মুখোমুখি হন। তখন তিনি সহযোদ্ধাদের নিয়ে কিছুটা পিছু হটে রাজশাহী ও সারদার মোড়ে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন। তখন সেখানে দুই পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। ছত্রভঙ্গ মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশকে সংগঠিত করতে সক্ষম হন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। এরপর তিনি পুনরায় গোদাগাড়িতে অবস্থান নেন। পরে ভারতে পুনঃসংগঠিত হওয়ার পর গিয়াসউদ্দিন সহযোদ্ধাদের নিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় গেরিলাযুদ্ধ শুরু করেন। তার প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ওই এলাকায় অনেকগুলো গেরিলা অপারেশন করেন। [২]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
বহি:সংযোগ