ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ‘লীপু’ ডাকনামে পরিচিত গাজী আশরাফ বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে অন্যান্যদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ঊষালগ্নে লীপু সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মার্চ, ১৯৮৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন। এর ১৯৯০-এর গ্রীষ্মকালে আইসিসি ট্রফিপ্রতিযোগিতা পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে ছিলেন। জাতীয় দলের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফল ছিলেন তিনি। ঢাকা লীগেরআবাহনী ক্রীড়া চক্রের দায়িত্ব পালনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলেরও নেতৃত্ব দেন। জানুয়ারি, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৫ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে অংশ নেন।[৪] অভিজ্ঞজনদের মতে, লীপু'র অধিনায়কত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট বেশ অগ্রসরমান হয়। জাতীয় দলের উল্লেখযোগ্য সাফল্য না এলেও নব্বুইয়ের দশকে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আতহার আলী খান, আকরাম খান, গোলাম নওশের প্রিন্স, আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ বেশ কয়েকজন উদীয়মান খেলোয়াড়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। মূলতঃ আশি’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা পেশাদারীত্বের পর্যায়ে যায় এবং একই সময়ে পরবর্তী প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ক্রিকেটের প্রতি গভীর অনুরাগ জন্মায়।[৫]