গাঙচিল (Gull) নদীর উপর উড়ে বেড়ায় এমন চিলবিশেষ। ১৮১৫ সালে ফরাসি বহুবিদ্যাবিশারদ কনস্টানটাইন স্যামুয়েল রাফিনেস্কের দ্বারা লরিডে (লরিডিয়া হিসাবে)পরিবারটি চালু হয়েছিল। [১][২]
গাঙচিল (Seagull) আকৃতিতে মাঝারি থেকে বড় হয়ে থাকে। রঙ হয় ধূসর বা সাদা; মাঝে মাঝে মাথা ও পাখায় কালো ছোপ দেখা যায়। গাঙচিলের ডাক বেশ কর্কশ। এদের পাগুলো বেশ লম্বা হয়ে থাকে। ডানা লম্বা ও শক্তিশালী। হাঁসের মতো পায়ের পাতা জোড়া। এই কারণে জলে সহজেই সাঁতার কাটতে পারে। এরা অনায়াসে আকাশে দীর্ঘক্ষণ উড়তে পারে। হাওয়া থাকলে খুব কমই ডানা সঞ্চালন করে। দু' চারবার ডানা নেড়ে এরা স্বচ্ছন্দে আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারে। মাছ এদের প্রধান খাদ্য। উপকূলের আবর্জনা ঘেঁটে ছোট ছোট পোকামাকড় খায়। এদের বহু প্রজাতি রয়েছে। তাদের অধিকাংশই পরিযায়ী পাখি। এরা বাসা বাঁধে পাথরের খাঁজে। শুকনো শেওলা দিয়ে বাসা তৈরি করে তাতে দুটি ও তিনটি ডিম পাড়ে। গাল পাখির ডিম খাদ্য হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই সমাদৃত। ইউরোপ ও আমেরিকায় হেরিং গাল, কালো মাথা গাল, কমন গাল সুপরিচিত। গ্রেট ব্ল্যাক হেডেড গাল হলো সবচেয়ে বড় আকারে সোনালি ঈগলের মতো। গৃহপালিত পায়রা থেকে গাল পাখি ছোট। আমাদের দেশে এদের দেখা খুবই কম মিলে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ, পোকামাকড়, ডিম, বিভিন্ন লতা। এরা অঙ্গুরিঠুঁটো (Ring-billed Gull) নামেও পরিচিত।
গ্যালারি
তথ্যসূত্র