গণমুক্তি ফৌজ

গণমুক্তি ফৌজ[] বাংলাদেশের একটি বামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।[] সংগঠনটি বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধ), এবং পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির মতো অন্যান্য বামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অনুরূপ।[] বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে গ্রুপটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয়।[][]

গণমুক্তি ফৌজ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। গণমুক্তি ফৌজের এক নেতার মতে, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এর পৃষ্ঠপোষক।[] দক্ষিণ এশীয় সন্ত্রাসবাদ পোর্টাল দলটিকে "নিষ্ক্রিয় সন্ত্রাসবাদী/বিদ্রোহী গোষ্ঠী" হিসেবে বর্ণনা করেছে।[]

ইতিহাস

২০০৫ সালের এপ্রিলে, গণমুক্তি ফৌজের একজন কর্মী জাহিদ মাস্টারকে বাংলাদেশ পুলিশ কুমিল্লা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে এবং কুষ্টিয়া জেলায় নিয়ে যায়। অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে একটি স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ইউনিটের ওপর হামলা করা হয়। এরপর বন্দুকযুদ্ধে জাহিদ মাস্টার ও গণমুক্তি ফৌজের আরেক সদস্য নিহত হন।[]

২০০৯ সালের ১৭ মার্চ গণমুক্তি ফৌজ ফ্লায়ার বিতরণ করে এবং কুষ্টিয়া জেলার হত্যা করা হবে লোকদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন।[] ২৭ জুলাই ২০১০ তারিখে, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের একজন প্রাক্তন নেতাসহ গণমুক্তি ফৌজের দুই কর্মীকে অস্ত্র চোরাচালানের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[১০]

গণমুক্তি ফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম মুকুলকে ২০১০ সালে ভারতে অভিবাসন জালিয়াতির অভিযোগে আটক করা হয় এবং এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১লা জুন, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তার স্ত্রী সাহিদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।[১১]

২৬ জুন ২০১৩ তারিখে গণমুক্তি ফৌজ বিহারিয়া গ্রামের একজনকে অপহরণের চেষ্টা করে। হট্টগোল শুনে গ্রামবাসীরা বাড়ির চারপাশে জড়ো হয় যা ফৌজকে গ্রামবাসীদের উপর গুলি করতে প্ররোচিত করে এবং দুজনকে হত্যা করে।[১২] গণমুক্তি ফৌজের সেকেন্ড ইন কমান্ড, ফজলুল হক ওরফে ফজলু মাতবর, কুষ্টিয়ায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে নিহত হন।[১৩]

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই কর্মী নিহত হন।[১৪] ১১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে গণমুক্তি ফৌজের দুই নেতা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।[১৫]

২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে, গণমুক্তি ফৌজের একজন নেতাকে কুষ্টিয়া জেলা থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গ্রেপ্তার করে।[১৬]

তথ্যসূত্র

  1. Proceedings (ইংরেজি ভাষায়)। Third World Conference Foundation। ১৯৮৬। পৃষ্ঠা 540। 
  2. Regionalism in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Aalekh Publishers। ১৯৮৩। পৃষ্ঠা 125। 
  3. Chandran, D. Suba; Chari, P. R. (২০১০)। Armed Conflicts in South Asia, 2009: Continuing Violence, Failing Peace Process (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 978-0-415-56444-1 
  4. "Outlaws regrouping in SW under political cover"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  5. "Extremists in Khulna region coming out of hiding"ঢাকা ট্রিবিউন। ১১ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  6. "Politicians, outlaws go hand in hand"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  7. "Terrorism in Bangladesh"satp.org। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  8. "2 outlaws killed in 'crossfire'"দ্য ডেইলি স্টার। দ্য ডেইলি স্টার। ১৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  9. "Outlawed Gono Mukti Fouz gives death threats"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  10. "Two women outlaws jailed for life"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  11. "Gono Mukti Fouz chief's wife held in capital"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২১ 
  12. "Gang opens fire on villagers, two killed"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  13. "Outlaw killed in Kushtia 'crossfire'"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  14. "2 Kushtia 'outlaws' killed in 'gunfight'"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  15. "2 Kushtia 'outlaws' killed in 'gunfight'"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২১ 
  16. "Outlawed Gono Mukti Fouz leader held with firearms"। ২৮ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২১ 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!