খাইবার-১, ১০০ কিলোমিটার পরিসরে লক্ষ্যভেদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ[৪][৫] হিজবুল্লাহ রকেট বাহিনীতে অধিকাংশ সময় ব্যবহৃত বিএম-২১ গ্রেড রকেটের চেয়ে এটি দীর্ঘ। এটি একটি অনন্য সিরিয় নকশা করা লঞ্চার এবং সম্ভবত একটি ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র [৬] বা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করা যুদ্ধাস্ত্র।[৭][৮] রকেটটি তার নির্দিষ্ট লেজের পাখনা দ্বারা সহজেই সনাক্ত করা যায়। রকেটটিকে প্রায়শই ইরানের[৯][১০] বা ইরানি ফজর-৩[৭] বা ফজর-৫ রকেটের বিবর্তিত সংস্করণ হিসাবে ভুলভাবে শনাক্ত করা হয়।[১১]
ব্যবহার
২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের আফুলাতে রকেটটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালের অগাস্টের প্রথম দিকে, খাইবার-১ লেবাননের সীমান্তে হতে ৭০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত ইসরায়েলের শহর বাইত শিয়ান,[১২] হাদেরা, [১৩] এবং ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে আঘাত হানে।[১৪]
ইরান খাইবার-১ রকেট গাজায় পাঠানোর চেষ্টা করেছে। [১]
নামের উৎপত্তি
খাইবার (বিকল্প বানান খায়বার)মদিনার প্রায় ৯৫ মাইল পূর্বে অবস্থিত একটি মরূদ্যান, যা একসময় আরবের বৃহত্তম ইহুদি বসতি ছিল। নামটি খায়বার যুদ্ধের অনুস্মারক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। এই যুদ্ধ ৬২৯ সালে মুহাম্মাদের নেতৃত্বে মুসলিম এবং খায়বারের বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ আল-মানার টেলিভিশন স্টেশনে একটি বক্তৃতায় রকেটটির নাম সর্বপ্রথম প্রকাশ করেছিলেন।[২]
↑"302mm Khaibar (M-302)"। Foundation for Defense of Democracies। ২৮ অক্টোবর ২০১৩। ১১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২।
↑ কখWilliam M. Arkin, Divining Victory: Airpower in the 2006 Israel-Hezbollah War (2007) p. 34 আইএসবিএন৯৭৮-১৫৮৫৬৬১৬৮৮