তিনি প্রয়াত স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি নেস্তর কির্চনারের স্থলাভিষিক্ত হন। অক্টোবর, ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর অক্টোবর, ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো চার বছর মেয়াদকালে আর্জেন্টিনার ৫২তম রাষ্ট্রপতি হবার সুযোগ লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ক্রিস্তিনা ফার্নান্দেজ স্পেনীয় বংশোদ্ভূত বাস চালক এদুয়ার্দো ফের্নান্দেস এবং জার্মান বংশোদ্ভূত ওফেলিয়া এসথার ভিলহেল্মের কন্যা।[৪] তিনি বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের লা প্লাতা শহরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।[৫] অধ্যয়নের সময়ে সেখানেই আইন বিষয়ের ছাত্র ও পরবর্তীকালে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি নেস্তর কির্শনারের সাথে পরিচিত হন।
১৯৭৫ সালে উভয়ে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। একবছর পর সামরিক জান্তা কর্তৃক আর্জেন্টিনার ক্ষমতাভার গ্রহণ করলে লা প্লাতা ছেড়ে এ দম্পতি সান্তা ক্রুস প্রদেশে অবস্থিত নেস্তরের নিজ শহর রিও গাইয়েগোসে চলে যান। এরপর তারা আইনজীবী হিসেবে সান্তা ক্রুজ প্রদেশে চলে আসেন। ১৯৮৩ সালে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসলে উভয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮৭ সালে নেস্তর কির্চনার রিও গলেগসের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বামী চারবছর মেয়াদের প্রাদেশিক গভর্নর হলে ক্রিস্টিনা সান্তা ক্রুজের ফার্স্ট লেডি হন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নেস্তর কির্চনারের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে ফার্স্ট লেডির মর্যাদা উপভোগ করেন। ২০১০ সালে স্বামীর মৃত্যু পর্যন্ত ক্রিস্টিনা সংসার ধর্ম পালন করেন।[৬]
রাজনৈতিক জীবন
জাস্টিসিয়ালিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে মে, ১৯৯১ সালে একবার প্রাদেশিক পরিষদের জাতীয় প্রতিনিধি হয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে তিনবার জাতীয় সিনেটর হিসেবে সান্তা ক্রুজ ও বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফ্রন্ট ফর ভিক্টরি দলের পক্ষ হয়ে নির্বাচন করেন ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাভার গ্রহণ করেন।
↑Presidency of the Argentine Nation। "The President Biography" (Spanish ভাষায়)। ২০০৯-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০৩।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)
↑Lara, Rodolfo (২ অক্টোবর ২০০৭)। "Universidad de La Plata: Cristina está graduada" [University of La Plata: Cristina is graduated] (Spanish ভাষায়)। Clarín। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১২।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)