+২০° ও −৯০° অক্ষাংশের মাঝে দৃশ্যমান। মার্চ মাসে রাত ৯ টায় সবচেয়ে ভাল দেখায়।
ক্যারিনা দক্ষিণ দিকের আকাশে দৃশ্যমান একটি নক্ষত্রমণ্ডল। ল্যাটিন ভাষায় ক্যারিনা শব্দের অর্থ "জাহাজের তলদেশ", আর এটি পূর্বে "আর্গো নেভিস" নামের একটি বৃহৎ নক্ষত্রমণ্ডলের অংশ ছিল(আর্গো জাহাজ)। পরবর্তীতে মূল নক্ষত্রমণ্ডলটিকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয় যার একটি ক্যারিনা, আর অন্য দুটি ভেলা (জাহাজের ডেক) ও পাপিস মণ্ডল (জাহাজের পাল)।
ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনী
ক্যারিনা এক সময় আর্গো নেভিস এর অংশ ছিল। এটি ছিল জেসন এবং আর্গোনটস এর বিশাল জাহাজ যারা সোনালী ভেড়ার চামড়ার সন্ধানে ছিল। প্রাচীন গ্রিসে আর্গো তারামণ্ডলের সূচনা ঘটে। তবে, আর্গো নেভিস এর বিশাল আকার এবং এর অন্তর্ভুক্ত বৃহৎ সংখ্যক তারাগুলোর আলাদা নামকরণের প্রয়োজন হওয়ায়, নিকোলাস-লুই দ্য ল্যাসেল ১৭৬৩ সালে আর্গো নেভিসকে তিনটি অংশে বিভক্ত করেন, যার মধ্যে ক্যারিনা (জাহাজের তলদেশ) অন্তর্ভুক্ত। [২] উনবিংশ শতকে এই তিনটি তারামণ্ডল পৃথক তারামণ্ডল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ১৯৩০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএইউ এর ৮৮টি আধুনিক তারামণ্ডলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। [৩] ল্যাসেল সম্পূর্ণ আর্গো নেভিসের তারাগুলোর নামকরণের জন্য কেবলমাত্র এক সেট গ্রিক অক্ষর ব্যবহার করেন, এবং তিনটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা ল্যাটিন অক্ষর ব্যবহার করেন। এ কারণে, ক্যারিনায় α, β ও ε, ভেলা মন্ডলে γ ও δ, পাপিস মণ্ডলে ζ প্রভৃতি রয়েছে। [৪]
ক্যারিনাতে রয়েছে ক্যানোপাস নামের একটি শ্বেত-বর্ণের অতিদানব তারা যেটি রাতের আকাশে দ্বিতীয় উজ্জ্বলতম তারা। এর আপাত মান -.৭২ ও এটি পৃথিবী থেকে ৩১৩ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এর পূর্বের নাম ছিল আলফা ক্যারিনা। এটি একটি বিষমতারা যার আপাতমান প্রায় ০.১ মান পর্যন্ত উঠানামা করে। এর প্রচলিত নামটি রাখা হয়েছে পৌরাণিক চরিত্র ক্যানোপাসের নামে যিনি স্পার্টার রাজা মেনেলসের অধীনে একজন সাগর-অভিযাত্রী ছিলেন। [২]
উল্কা
ক্যারিনাতে ইটা ক্যারিনিডস্ উল্কা বৃষ্টির প্রভা রয়েছে, যেটি প্রতি বছর ২১শে জানুয়ারির দিকে সর্বোচ্চ মানে পৌছায়।