কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি ব্রিটিশ শাসনের সময় প্রতিষ্ঠিত (১৮৬০) হিসাবে পরিচিত। এই কৈলাস রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ই উপমহাদেশের প্রথম “জাতীয় বিদ্যালয়”।[১] এটি বর্তমানে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ।
ইতিহাস
কাকিনা জমিদার শম্ভু চন্দ্র রায় চৌধুরী ১৮৬০ সালের দিকে আদি রংপুরের মাহিগঞ্জে তাঁর অকাল প্রয়াত পুত্র কৈলাস রঞ্জনের নামানুসারে প্রতিষ্ঠা করেন কৈলাস রঞ্জন মিডল ভার্নাকিউলার স্কুল।[২] পরবর্তীতে রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৮৮০ সালের দিকে বিদ্যালয়টি মিডল ইংলিশ স্কুলে রূপান্তরিত হয় এবং নবাবগঞ্জ-ধাপ ভিত্তিক আধুনিক রংপুরে চলে আসে। ১৯১৩ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজি স্কুলে উন্নীত হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে স্কুলটি ছিল রংপুরের তৃতীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কুল হিসেবে পরিচিত ছিল জিলা স্কুল এবং ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ কেন্দ্র ছিল কৈলাস রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়। অগ্নিযুগের বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ জরিমানা করলে তিনি জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন এবং জিলা স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে কৈলাস রঞ্জন স্কুলে ভর্তি হন।
১৯০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রংপুর কৈলাস রঞ্জন উচ্চ ইংরেজি স্কুল জাতীয় বিদ্যালয় স্কুলে রূপান্তরিত হয়। সে সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ব্রজ সুন্দর রায় এম.এ এবং নগেন সেন ছিলেন দ্বিতীয় শিক্ষক।[৩]
অবস্থান
রংপুর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে জুমাপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত।
অবকাঠামো
সুপরিসর মাঠ, ৪ তলা ভবন ১ টি, সমৃদ্ধ পাঠাগার, সুপরিসর কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার আছে। রয়েছে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, সুসজ্জিত শিক্ষক বিশ্রমাগার। জাতীয় চেতনার বিকাশে আছে শহীদ মিনার।
শিক্ষা কার্যক্রম
এ বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। নবম-দশম শ্রেনিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় পাঠদান করা হয়।[৪]
অর্জন
বিভিন্ন সময়ে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, আবৃত্তি, রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাফল্য আছে। বিদ্যালয়টিতে জেএসসিতে প্রায় ৮৯% এসএসসিতে প্রায় ৮১% পাশ করে।
সুযোগ-সুবিধা
কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় মুজিব কর্নার রয়েছে।[৫][৬]
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
তথ্যসূত্র