কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়

কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়
বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার
ঠিকানা
মানচিত্র

জুম্মাপাড়া

,
৫৪০০

স্থানাঙ্ক২৫°৪৫′১০″ উত্তর ৮৯°১৫′১৩″ পূর্ব / ২৫.৭৫২৭৪৯২° উত্তর ৮৯.২৫৩৬৮৮৮° পূর্ব / 25.7527492; 89.2536888
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনবেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৬০
প্রতিষ্ঠাতাজমিদার শম্ভু চন্দ্র রায় চৌধুরী
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
সেশনজানুয়ারি - ডিসেম্বর
ইআইআইএন১২৭৩৮৫
প্রধান শিক্ষকআশরাফুল আলম
শ্রেণি৬ষ্ট-দশম
লিঙ্গসহশিক্ষা
শিক্ষার্থী সংখ্যা৭০০+ জন
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসসমূহ১টি
শিক্ষায়তন২৭৯ শতক
ক্যাম্পাসের ধরনঅনাবাসিক শহুরে
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি

কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি ব্রিটিশ শাসনের সময় প্রতিষ্ঠিত (১৮৬০) হিসাবে পরিচিত। এই কৈলাস রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ই উপমহাদেশের প্রথম “জাতীয় বিদ্যালয়”।[] এটি বর্তমানে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ।

ইতিহাস

কাকিনা জমিদার শম্ভু চন্দ্র রায় চৌধুরী ১৮৬০ সালের দিকে আদি রংপুরের মাহিগঞ্জে তাঁর অকাল প্রয়াত পুত্র কৈলাস রঞ্জনের নামানুসারে প্রতিষ্ঠা করেন কৈলাস রঞ্জন মিডল ভার্নাকিউলার স্কুল।[] পরবর্তীতে রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৮৮০ সালের দিকে বিদ্যালয়টি মিডল ইংলিশ স্কুলে রূপান্তরিত হয় এবং নবাবগঞ্জ-ধাপ ভিত্তিক আধুনিক রংপুরে চলে আসে। ১৯১৩ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজি স্কুলে উন্নীত হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে স্কুলটি ছিল রংপুরের তৃতীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কুল হিসেবে পরিচিত ছিল জিলা স্কুল এবং ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ কেন্দ্র ছিল কৈলাস রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়। অগ্নিযুগের বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ জরিমানা করলে তিনি জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন এবং জিলা স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে কৈলাস রঞ্জন স্কুলে ভর্তি হন।

১৯০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রংপুর কৈলাস রঞ্জন উচ্চ ইংরেজি স্কুল জাতীয় বিদ্যালয় স্কুলে রূপান্তরিত হয়। সে সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ব্রজ সুন্দর রায় এম.এ এবং নগেন সেন ছিলেন দ্বিতীয় শিক্ষক।[]

অবস্থান

রংপুর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে জুমাপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত।

অবকাঠামো

সুপরিসর মাঠ, ৪ তলা ভবন ১ টি, সমৃদ্ধ পাঠাগার, সুপরিসর কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার আছে। রয়েছে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, সুসজ্জিত শিক্ষক বিশ্রমাগার। জাতীয় চেতনার বিকাশে আছে শহীদ মিনার।

শিক্ষা কার্যক্রম

এ বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। নবম-দশম শ্রেনিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় পাঠদান করা হয়।[]

অর্জন

বিভিন্ন সময়ে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, আবৃত্তি, রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাফল্য আছে। বিদ্যালয়টিতে জেএসসিতে প্রায় ৮৯% এসএসসিতে প্রায় ৮১% পাশ করে।

সুযোগ-সুবিধা

কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় মুজিব কর্নার রয়েছে।[][]

প্রাক্তন শিক্ষার্থী

তথ্যসূত্র

  1. "রংপুর জেলা"www.rangpur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৯ 
  2. "লালমনিরহাট জেলা"lalmonirhat.gov.bd। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৯ 
  3. "কালীগঞ্জ উপজেলার কিছু দর্শনীয় স্থান"। লালমনিরহাট বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  4. "আর্থিক সহ অন্যান্য অনুদান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ সংস্কৃত শিক্ষক পরিষদ"www.sirsonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  5. "রংপুরে কৈলাশ রঞ্জন স্কুলে মুজিব কর্নার উদ্বোধন"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  6. "রংপুর কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন"www.amader-protidin.com। দৈনিক আমাদের প্রতিদিন। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  7. "স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম শহীদ শংকু, যার রক্তে মিলেছিল অনুপ্রেরণা"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 
  8. "মঞ্জু সরকার-- বই | বাতিঘর"Baatighar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-৩০ 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!