বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা |
---|
|
|
---|
বাংলাদেশের মানচিত্রে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|
প্রতিষ্ঠা | ১৯৪৭; ৭৭ বছর আগে (1947) |
---|
|
• মোট | ৩,৪৯৫.৭৫ বর্গকিমি (১,৩৪৯.৭২ বর্গমাইল) |
---|
|
• মোট | ৪০,৮৮,১২৩ |
---|
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
---|
|
• মোট | ৬৯.৩৪% |
---|
|
---|
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
---|
পোস্ট কোড | ০৩ টি জেলা
- কুষ্টিয়া-৭০০০
- মেহেরপুর-৭১০০
- চুয়াডাঙ্গা-৭২০০
|
---|
বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ছিল ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান সৃষ্টির সময় নদিয়া জেলা থেকে পৃথক হয়ে বৃহত্তর নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমা, মেহেরপুর মহকুমা ও চুয়াডাঙ্গা মহকুমা নিয়ে গঠিত একটি জেলা।[১]
ইতিহাস
১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জমিদারীর অধীনে ছিল। পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭৬ সালে কুষ্টিয়াকে যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু ১৮২৮ সালে এটি পাবনা জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়।[২] ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৮৭১ সালে কুমারখালী উপজেলা ও খোকসা উপজেলা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অর্ন্তগত হয়। ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পূর্বে কুষ্টিয়া নদিয়া জেলার আওতায় একটি মহকুমা ছিল। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভ্যুদয় ঘটে। তখন কুষ্টিয়া জেলা ৩টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো কুষ্টিয়া , চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর।[৩] এরপর ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬ টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।[৪]
প্রশাসনিক বিভাজন
বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার ০৩টি মহকুমা ১৩টি উপজেলা ছিল।
বর্তমান
বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী যা বর্তমানে মেহেরপুর জেলার একটি উপজেলা। এই অঞ্চল তথা অবিভক্ত নদীয়া জেলার আদি বাসিন্দাদের কথ্য বাংলার সাথে আধুনিক প্রমিত বাংলার ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া যায়।[৫] এই তিন জেলার অধিবাসীদের বৃহত্তর সমাজকে বৃহত্তর কুষ্টিয়াবাসী বলা হয়।
তথ্যসূত্র