কিতাব ই আকদাসবাহাই ধর্মের প্রবর্তক বাহাউল্লাহ কর্তৃক ১৮৫৩-১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে লিখিত! বাহাইদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাহাইগণ এটাকে মুসলমানদেরকুরআন শরীফ এবং খ্রিস্টানদেরবাইবেলের সমান বলে মনে করে। বইটি আরবীতে রচিত এবং এর নাম আল কিতাবু ই আকদাস ( الكتاب الأقدس)। কিন্তু এটার ফারসি নাম কিতাব ই আকদাস ( كتاب اقدس) অধিক প্রচলিত। বইটিকে অনেকসময় সর্বোচ্চ পবিত্র গ্রন্থ , আইনগ্রন্থ বা বুক অব আকদাস নামে ডাকা হয়। বলা হয়ে থাকে বইটি ১৮৭৩ সালের দিকে লেখা শেষ হয় কিন্তু উপাত্ত থেকে ধারণা করা হয় কিছু লেখা আগেই সম্পন্ন হয়েছিলো।[১] বাহাউল্লাহ কিতাব ই আকদাসের কথা প্রকাশের পর এটা ইরানের বাহাই অনুসারীদের কাছে প্রেরণ করেন। ১৮৯০-৯১ খ্রিষ্টাব্দে (১৩০৮ হিজরী সন) তিনি বইটি ভারতের বোম্বে (বর্তমান নাম মুম্বাই) থেকে প্রকাশ করেন। কিতাব ই আকদাসকে বাহাই শিক্ষার মাতৃগ্রন্থ এবং ভবিষ্যত বিশ্ব সভ্যতার মানপত্র[২] হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
উপাসনা
১৫ থেকে ৭০ বছর সকল বাহাইগণ প্রাত্যহিক উপাসনা করতে বাধ্য। পবিত্র হওয়ার পরে তারা নিজস্ব রীতি নীতির মাধ্যমে উপাসন সম্পন্ন করে। উপাসনার সময়ে তারা কিবলিহ (আরবীঃ قبلة কেবলা) এর দিকে মুখ করে থাকে। ইসরায়েল এ অবস্থিত বাহাউল্লাহ'র সমাধি হচ্ছে বাহাইদের কেবলা। যদিও বাহাইগণ বাহাউল্লাহর মাজারকে উপাসনা করে না। বাহাই মতে অসুস্থ, বিপদগ্রস্থ, মাসিক চলাকালীন নারী দৈনিক উপাসনা করার আওতামুক্ত।[৩]
উপবাস
বাহাই মাস আলার ২ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ১৫ থেকে ৭০ বয়সী সকল বাহাইগণ রোজা থাকতে বাধ্য। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুসলমানদের মত তারা সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকে। ভ্রমণকারী, অসুস্থ, গর্ভবতী, মাসিক চলাকালীন নারী অথবা কঠিন পরিশ্রমকারী ব্যক্তিদের বাহাই ধর্মে রোজা রাখার বিধান নেই। তবে নির্দিষ্ট এই মাসের বাইরে বাহাইগণ ঐচ্ছিক রোজা পালন করতে পারবেন। [৪]
মৃতের সৎকার
বাহাই ধর্ম গ্রন্থানুসারে মৃতদেহকে কবর দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তারা মুসলমানদের মত মৃতদেহকে কেবলামুখী করে শুইয়ে কবর দেয়। তারা মৃতের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে কিন্তু অন্য কোন অনুষ্ঠানের আয়জন করে না।