মহারানি কার্তিক থিরুনাল লক্ষ্মী বাই (১৯১৬ - ২০০৮) ত্রিবাঙ্কুরের শেষ শাসক মহারাজা শ্রী চিথিরা থিরুনাল বলরামা বর্মা এবং তাঁর উত্তরসূরি শ্রী উথ্রাডম থিরুনাল মার্থান্ডা বর্মার একমাত্র বোন ছিলেন। ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যে মাতৃসূত্রের অধীনে মারুমাক্কাথায়ম প্রচলিত উত্তরাধিকার ব্যবস্থায়, সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন তাঁর সন্তানরা। তাই ত্রিবাঙ্কুর রাজ দরবারে তাঁর একটি বিশেষ স্থান ছিল, তিনি মহারাজার পত্নীদের থেকে ঊর্ধ্বতন ছিলেন, এবং তাঁর নিজের অধিকারেই তাঁকে আত্তিঙ্গলের রানি বলা হত। ২০১৩ সালে, তাঁর একমাত্র জীবিত পুত্র ত্রিবাঙ্কুরের মহারাজা হিসাবে যথাযথভাবে উত্তরাধিকারী হন এবং মূলম থিরুনাল রামা বর্মা নামে পরিচিত হন।
প্রারম্ভিক বছরগুলি
রানি মা সেতু পার্বতী বাই এবং কিলিমানুরের রবি বর্মা কৈল থামপুরানের একমাত্র কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করে, তিনি উত্তরকালে লে. কর্নেল জি. ভি. রাজাকে বিবাহ করেছিলেন। "ওয়ানইন্ডিয়া" অনলাইন দৈনিক অনুসারে তিনি প্রাক-স্বাধীন এবং স্বাধীন ভারতের প্রধান ঘটনাগুলির সাক্ষী ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী, গায়ক এবং একজন ভাষাবিদও ছিলেন।[১] ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি আত্তিঙ্গল জায়গীরের প্রধানও ছিলেন, যা মুথা থামপুরান নামে পরিচিত।
ত্রিবাঙ্কুরের রাজকীয় প্রাসাদের মাতৃসূত্র বংশে, ১৯১৬ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর, তিনি কিলিমানুর কোভিলাকামের সংস্কৃত পণ্ডিত এবং অভিজাত শ্রী পুরম নাল রবি বর্মা কচু কোভিল থাম্পুরান এবং ত্রিবাঙ্কুরের আম্মা মহারানি মুলম থিরুনাল সেতু পার্বতী বাইয়ের একমাত্র কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর শিক্ষাগুরুরা ছিলেন নির্বাচিত শিক্ষক এবং পণ্ডিত। তিনি মালয়ালম, সংস্কৃত, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই, কার্তিক থিরুনাল নৃত্য ও সঙ্গীতে গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর আগ্রহ দেখে, তাঁর বড় ভাই, মহারাজা শ্রী চিথিরা থিরুনাল, হরিকেশানল্লুর মুথাইয়া ভগবতরকে তাঁর সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১৯৩৩ সালে, ১৬ বছর বয়সে, সমুদ্র পারাপার সম্পর্কিত তৎকালীন প্রচলিত কুসংস্কার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গিয়ে, কার্তিক থিরুনাল তাঁর পরিবারের প্রথম কন্যা হিসেবে তাঁর মায়ের সাথে সমুদ্র ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনেও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।[২]
রাজকীয় বিবাহ
কার্তিক থিরুনাল ১৬ বছর বয়সী হওয়ার সাথে সাথে, তাঁর বিবাহ দেবার সিদ্ধান্ত হয়। সাধারণত, কোয়ি থামপুরানদের বেছে নেওয়া হত ত্রিবাঙ্কুরের রাজকুমারী এবং রানির পাত্র হিসেবে।[৩]উথ্রাদম থিরুনালের বক্তব্য অনুসারে, মহারাজা শ্রী চিথিরা থিরুনাল এবং সেতু পার্বতী বাই কোয়ি থামপুরানদের শ্রেষ্ঠত্বকে উপেক্ষা করেছিলেন এবং পুঞ্জর প্রাসাদের পি আর গোদাবর্মা রাজা নামে এক অভিজাত যুবককে পাত্র হিসেবে পছন্দ করেছিলেন। মহারাজা মনে করেছিলেন যে এই ভিন্ন পছন্দই তাঁর বোনের জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী হবে এবং তাঁরা প্রথমবারের মতো পুঞ্জর রাজকীয় ঘর থেকে একজন পাত্রকে বেছে নিয়েছিলেন।
যখন পি আর রামবর্মা রাজা, (কার্তিকা থিরুনালের মাসির স্বামী), কৌদিয়ার প্রাসাদ পরিদর্শন করেছিলেন, কার্তিক থিরুনালের সম্ভাব্য স্বামী হিসেবে তিনি তাঁর ছোট ভাই গোদাবর্মা রাজার (কর্ণেল জি. ভি. রাজা, পি. আর. গোদাবর্মা রাজা নামেও পরিচিত ছিলেন) নামটি সামনে রেখেছিলেন। গোদাবর্মা রাজা যিনি পরে "কেরালা ক্রীড়া ও পর্যটনের রাজা" হিসাবে অমর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, এই প্রস্তাবের সময় তিনি ডাক্তারিতে ডিগ্রি অর্জনের জন্য মাদ্রাজে অধ্যয়নরত ছিলেন। ১৯৩৩ সালে তাঁদের দুজনের দেখা হয়েছিল। গোদাবর্মা কার্তিক থিরুনালের সাথে বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তখনই নিজের শিক্ষা গ্রহণ বন্ধ করে দেন। কার্তিক থিরুনালের পরিবারও অনুমোদন দেয়, এবং এইভাবে বিবাহ ঘোষণা করা হয়। এই প্রথমবার ত্রিবাঙ্কুর রাজকুমারী কোয়ি থামপুরান ছাড়া অন্য কাউকে বিবাহ করেছিলেন। পুঞ্জর রাজপরিবারকে পাণ্ড্য রাজবংশের বংশধর বলে মনে করা হয়।[৪]
পাল্লীকেট্টুর (ত্রিবাঙ্কুর রাজকুমারীর বিবাহ) প্রস্তুতি ১৯৩৩ সালেই শুরু হয়েছিল। সুন্দর বিলাসম প্যালেসে বিশাল বিবাহের স্থান তৈরি করা হয়েছিল। বিবাহের জন্য অনেক বিশিষ্ট ভারতীয় রাজকীয়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং এই বিবাহ একটি জমকালো ব্যাপার ছিল। ১৯৩৪ সালের ২৪শে জানুয়ারি ১৭ বছর বয়সী কার্তিক থিরুনাল এবং ২৬ বছর বয়সী গোদাবর্মা রাজার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। রাজকীয় দম্পতি তাঁদের মধুচন্দ্রিমার জন্য কোভালামে অবস্থান করেছিলেন এবং এই সময়েই, গোদাবর্মা রাজা, স্থানটির সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে কোভালামকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার এবং প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বিয়ের পর, জি. ভি. রাজা ত্রিবাঙ্কুর রাজ্য বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) যোগদান করেন এবং একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও নায়ার ব্রিগেডের (ত্রিবাঙ্কুর রাজার দেহরক্ষী) কমান্ডিং অফিসারদের একজন হিসেবে কাজ শুরু করেন।[৫][৬]
দম্পতির চার সন্তান ছিল, ইলিয়ারাজা (সিংহাসনের উত্তরাধিকারী) আভিত্তম থিরুনাল রামা বর্মা (১৯৩৮ - ১৯৪৪, বাতজনিত হৃদরোগে ছয় বছর বয়সে মারা যায়), পুয়াম থিরুনাল গৌরী পার্বতী বাই (১৯৪১), অস্বতী থিরুনাল গৌরী লক্ষ্মী বাই (১৯৪৫) এবং শ্রী মূলম থিরুনাল রামা বর্মা (১৯৪৯), যিনি ছিলেন ত্রিবাঙ্কুরের খেতাবী মহারাজা[৭][৮] ও ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবারের প্রধান এবং শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের সর্বোচ্চ অভিভাবক ও রক্ষক।[৯]
তাঁর প্রয়াত ভাগ্নে, রাজকুমার আভিত্তম থিরুনালের স্মরণে, মহারাজা চিথিরা থিরুনাল বলরামা বর্মা তিরুবনন্তপুরমে এসএটি হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন।
[১০][১১]
পুরো উপাধি
মহামান্য শ্রী পদ্মনাভসেবিনী ভাঞ্চিধর্মা বর্ধিনী রাজা রাজেশ্বরী মহারাণী কার্তিকা থিরুনাল লক্ষ্মী বাই, আত্তিঙ্গল মুথা থামপুরান এবং ত্রিবাঙ্কুরের মহারানি।
↑https://en.wikivoyage.org/wiki/Kovalam Kovalam Wikivoyage In 1934, the next Queen, H.H Karthika Thirunal choose this palace for her honeymoon with her newly wed husband, G.V. Raja. It was Prince Consort G.V Raja who found immense tourist potentiality of the region and decided promote the region among state guests, by inviting Thomas Cook & Sons- UK to develop the region. The Maharaja of Travancore soon started hosting regular state banquets and accommodation of his European guests in Kovalam Haylcon Palace. This made the beach popular among European families living in nearby Madras and Bombay Presidencies as well as elite Travancore families to spend their holidays. Thus, the move helped to lay foundations of modern tourism industry in South India.
↑"Though by the 26th amendment to the Constitution, Article 363 was repealed whereby the rights and privileges of the rulers of Indian states were taken away, still the name and title of the rulers remained as such and unaffected in so far as names and titles were not contemplated as rights or privileges under the repealed Articles 291 and 362 of the Constitution."
↑രാജകുടുംബത്തിന്റെ കണ്ണീര് തോരുന്നില്ല! മനോരമഓണ്ലൈന് – 2012 ജനു 28, ശനി : 'ആറാം വയസ്സിലാണ് അവിട്ടം തിരുനാള് രാമവര്മയുടെ വേര്പാട്. 1944ല് ആയിരുന്നു അത്. ജന്മനാ അനാരോഗ്യമുള്ള കുട്ടിയായിരുന്നു. റുമാറ്റിക് ഹാര്ട്ട് എന്ന ഹൃദയത്തെ ബാധിക്കുന്ന രോഗമായിരുന്നു. രോഗത്തിന്റെ കാഠിന്യത്തെ കുറിച്ചു ഡോക്ടര്മാര് ഞങ്ങളെ ആരെയും അറിയിച്ചിരുന്നില്ല. കഴിവുറ്റ ഡോക്ടര്മാരോ ചികില്സാസൗകര്യമോ ഉണ്ടായിരുന്നുമില്ല. സൂക്ഷിച്ചു വളര്ത്തണമെന്നു പറഞ്ഞിട്ടില്ലാത്തതിനാല് മറ്റു കുട്ടികളെ പോലെ അവിട്ടം തിരുനാളിനെയും ഒാടാനും ചാടാനുമെല്ലാം വിട്ടു. കേരളത്തില് നല്ല മഴയുള്ള സമയമായിരുന്നു. ഈര്പ്പവും തണുപ്പും നല്ലതലെ്ലന്നു ഡോക്ടര്മാര് പറഞ്ഞതനുസരിച്ചു കാര്ത്തിക തിരുനാളും ഭര്ത്താവ് കേണല് ഗോദവര്മരാജയും അവിട്ടം തിരുനാളിനെയും കൂട്ടി കന്യാകുമാരിയിലേക്കു പോയി. അവിടെ മഴയുണ്ടായിരുന്നില്ല. ഒരു ദിവസം വൈകുന്നേരം അവിട്ടം തിരുനാള് അമ്മയോടു പേടിയാകുന്നുവെന്നു പറഞ്ഞു മടിയില് തലവച്ചു കിടന്നു. പിന്നെ ഇരുട്ടാകുന്നുവെന്നു പറഞ്ഞു, കണ്ണ് കാണുന്നിലെ്ലന്നു പറഞ്ഞു. പതിയെ ബോധം മറഞ്ഞു. മടിയില് കിടന്നുകൊണ്ടു തന്നെ ഈ ലോകം വിട്ടു പോയി.