কাতার–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক হল কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে মিত্র।
ইতিহাস
১৯৭৩ সাল মার্চ মাসে দোহায় মার্কিন দূতাবাস যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।[১] জুলাই, ১৯৭৪ সালে প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রদূত আসেন। কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র একত্রে মধ্যপূর্ব অঞ্চলের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যেন পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগও ছিল, বিশেষ কএ হাইড্রোকার্বন ক্ষেত্রে।[২] কাতার মধ্যপূর্বের বাজার ধরতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করে। কাতার তাদের দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সুবিধাও দিয়ে থাকে।[৩]
শিক্ষা
বহু কাতারি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে। কাতারের এডুকেশন সিটি কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে। এগুলো হল: ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি স্কুল অব আর্টস ইন কাতার (ভিসিইউকিউ), ওয়েইল কর্নেল মেডিকেল কলেজ ইন কাতার (ডব্লিউসিএমসি-কিউ), টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি অ্যাট কাতার (টিএএমইউকিউ), কার্নেজি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, কাতার (সিএমইউ-কিউ), জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ফরেইন সার্ভিস ইন কাতার (এসএফএস-কাতার)[৪] এবং নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়।[৫]
কূটনৈতিক বিনিময়
কূটনৈতিক সফর
আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালে সর্বশেষ ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন।[৬] রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ ২০০৩ সালে কাতার সফর করেন এবং সেখানে নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর সাথে কথা বলেন।[৭] ডোনাল্ড রামস্ফেল্ড ২০০২ সালে কাতারে সফর করেন। তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষাসচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।[৮] পররাষ্ট্রসচিব হিলারি ক্লিনটন ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারে সফর করেন,[৯] এবং জন কেরি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে কাতারে সফর করেন।[১০]
আবাসিক কর্মকর্তা
প্রধান মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন:
কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি দূতাবাস রয়েছে।[১৩]
সামরিক বাহিনী
১৯৯২ সালের শুরুর দিকেই কাতার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সন্ধি তৈরি করে। বর্তমানে সেখানে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের সদর দপ্তর এবং যৌথ বিমানঅভিযান কেন্দ্র রয়েছে।
২০১৫ সাল পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে:
২০০৩ সালে, মার্কিন সামরিক ঘাঁটি দোহা আন্তর্জাতিক এয়ার বেজ (ক্যাম্প স্নুপি নামেও পরিচিত) বন্ধ করা হয়।[১৪]
২০১৪-এর চুক্তি
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র কাতারের কাছে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করে। অস্ত্রের মধ্যে এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি, যুদ্ধ হেলিকপ্টার, প্যাট্রিয়ট এবং জ্যাভেলিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা - প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।[১৫] কাতার আরো ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ২.৭৬ মার্কিন ডলারে এনএইচ ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে এনএইচ৯০ হেলিকপ্টার ক্রয় করবে।[১৬]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
টেমপ্লেট:যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক
|
---|
আফ্রিকা | | |
---|
আমেরিকা | |
---|
এশিয়া | |
---|
ইউরোপ | |
---|
অস্ট্রেলিয়া | |
---|
মিশন | |
---|
|