ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল (আরবি: وارد تليكوم الدولية) ছিল একটি আমিরাতি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি। ২০১৫ সালে বিলুপ্ত হওয়ার আগে কোম্পানিটি বাংলাদেশ, জর্জিয়া, কঙ্গো, পাকিস্তান এবং উগান্ডায় কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।
পাকিস্তান
২০০৪ সালে, ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি, ২৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দেশব্যাপী মোবাইল টেলিফোনি নেটওয়ার্ক (ডাব্লুএলএল) এবং দীর্ঘ-দূরত্বের আন্তর্জাতিক (এলডিআই) পরিচালনার জন্য লাইসেন্স কিনে। এটি ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসির প্রথম উদ্যোগ ছিল। আবুধাবি গ্রুপের প্রাক্তন সিইও বশির তাহিরের নেতৃত্বে একটি দল এটির জন্য লাইসেন্সের জন্য বিড করেছিল।
ওয়ারিদ পাকিস্তান ২০০৫ সালের মে মাসে পরিষেবা চালু করে। চালুর ৮০ দিনের মধ্যে ওয়ারিদ পাকিস্তান দাবি করে যে তারা ১০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে।
২০০৭ সালের ৩০ শে জুন, সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশনস লিমিটেড (সিংটেল) এবং ওয়ারিদ টেলিকম ঘোষণা করে যে তারা একটি চুক্তি করেছে যার আওতায় ওয়ারিদের এন্টারপ্রাইজ মূল্য ২.৯ বিলিয়ন ধরে সিংটেল আনুমানিক ৭৫৮ মিলিয়ন ডলারে ওয়ারিদ টেলিকমের ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার অধিগ্রহণ করবে।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সিংটেল ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এই শেয়ারটি বিক্রি করে দেয় এবং ভবিষ্যতে যে কোনও বিক্রয়, পাবলিক অফার বা ওয়ারিদকে একীভূত করা হলে তার নিট আয়ের ৭.৫ শতাংশ পাওয়ার অধিকার রেখে দেয়।
২০১৫ সালের ২৬ শে নভেম্বর ভিম্পেলকম এবং আবুধাবি গ্রুপ, মোবিলিংক এবং ওয়ারিদকে জাজ নামে একটি একক সংস্থায় একীভূত করতে সম্মত হয়।
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি
বাংলাদেশ
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে, ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বাংলাদেশের ষষ্ঠ মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে কাজ করার জন্য ১৫ বছরের জিএসএম লাইসেন্স লাভ করে। ওয়ারিদ বাংলাদেশ ২০০৬ সালের মাঝামাঝি থেকে তার নেটওয়ার্ক চালু করে এবং ২০০৭ সালের ১০ মে ২৬টি জেলায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ওয়ারিদ বাংলাদেশ যাত্রা শুরুর ৭০ দিনের মধ্যে ১০ লাখ গ্রাহক অর্জন করে।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে ওয়ারিদ টেলিকম ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে ভারতের ভারতী এয়ারটেলের কাছে তার বাংলাদেশের কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে।
২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর ওয়ারিদ টেলিকমকে এয়ারটেল নামে পুনঃনামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এয়ারটেল এর কার্যক্রম রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর সাথে একীভূত করা হয় এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডকে বিলুপ্ত করা হয়।
জর্জিয়া
লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি
আইভরি কোস্ট
লাইসেন্স দেওয়া হয়। [২]
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
জানুয়ারি ২০০৮ সালে চালু হয়।[৩] ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায় যে এয়ারটেল এটি অধিগ্রহণ করেছে। [৪]
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি
অন্তর্জাল
|
স্থিতি
|
তারিখ
|
টীকা
|
জিএসএম৯০০
|
সক্রিয়
|
নভেম্বর ২০০৭
|
[৫]
|
২০০৭ সালে উগান্ডায় পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করা হয়। ওয়ারিদ একই সাথে ওয়াতিন টেলিকমের মাধ্যমে উগান্ডা জুড়ে ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রস্তুতি নেয়। [৬] ২০১৩ সালে এয়ারটেল অধিগ্রহণ করে।[৭]
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র