এলচে নাটকটির উৎপত্তি নিয়ে দুইটি মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও বিস্ময়করভাবে ত্রয়োদশ শতাব্দীকালকে এর উৎপত্তির বছররূপে নির্দেশ করা হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে শহরের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ক্রিস্টোবাল সাঞ্জ প্রথমটির রূপকার। তিনি তার ইতিহাসের বিষয়ের স্বপক্ষে প্রমাণ দাঁড় করানোর কথা স্বীকার করে তিনি প্রস্তাব করেন যে, শহরের শুরুরদিককার অধিবাসীরা ১২৭৬ সালে প্রথম এ উৎসব প্রতিপালন করতো। এছাড়াও, তিনি অন্য আরেকটি প্রাচীন গল্পের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান যে, ১২৬৫ সালে রাজা প্রথম জেমসের অভিযানের পর শহরের অধিবাসীরা রহস্যধর্মী নাটকের ধারনাটি তুলে ধরেন যা মুরসদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল।
১৭১৭ সালে এলচের অভিজাত সম্প্রদায়ের সদস্য ও অ্যাটর্নি জেনারেল হোস অ্যান্টনও শেষ ধারনাটির সাথে একমত পোষণ করেন। তবে তিনি বিস্ময়করভাবে একটি অংশ যুক্ত করেন যে, মে, ১২৬৬ সালে এলচের উপকূলবর্তী এলাকায় রহস্যময় তরী নোঙ্গর করে। এতে কুমারীমাতার স্বর্গারোহনের দৃশ্য ও লিখিত ও নাটকে ব্যবহৃত সঙ্গীত সহযোগে কনসুয়েতা ছিল।
খুব সম্ভবতঃ সুরকার অস্কার এসপ্লা নাটকের একটি অংশে ভুল করেছিলেন। ১৯২৪ সালে মঞ্চস্থকালে তিনি ১২৬৬ সালে নাটকটি রচনার বিষয় নিয়ে চিঠির কথা উল্লেখ করেন যা এলচে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে। তবে এ চিঠিটি কখনো দেখা যায়নি। এরফলে ত্রয়োদশ শতাব্দীকালকেই নাটকের সূচনালগ্নরূপে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।