এডি লিডবিটার
১৯৫৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এডি লিডবিটার |
|
পূর্ণ নাম | এডরিক লিডবিটার |
---|
জন্ম | (১৯২৭-০৮-১৫)১৫ আগস্ট ১৯২৭ লকউড, হাডার্সফিল্ড, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
মৃত্যু | ১৭ এপ্রিল ২০১১(2011-04-17) (বয়স ৮৩) হাডার্সফিল্ড, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৬৭) | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫১ বনাম ভারত |
---|
শেষ টেস্ট | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫১ বনাম ভারত |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
এডরিক এডি লিডবিটার (ইংরেজি: Eddie Leadbeater; জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল, ২০১১) পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের হাডার্সফিল্ড এলাকার লকউডে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক গুগলি বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন এডি লিডবিটার।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এডি লিডবিটারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিজেকে গুটিয়ে রাখা লেগ স্পিনার হিসেবে অংশ নিতেন। ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সাত মৌসুম ও ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত দুই মৌসুম খেলেন। তবে, বলে বৈচিত্রতা আনয়ণে ব্যর্থ হওয়ায় ও মনোযোগী না থাকায় সত্যিকারের সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। গুগলির তুলনায় টপস্পিন বোলিংয়েই অধিক জোড় দিতেন।
এডি লিডবিটার ডানহাতে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলার হিসেবে ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে ইয়র্কশায়ার ক্লাবে বেশ সফলতার সাথে খেলেন। তাসত্ত্বেও ঐ দলে তিনি টিকে থাকতে পারেননি। লিডবিটারের লেগ স্পিন সর্বদাই বেশ ব্যয়বহুল ছিল। ইয়র্কশায়ারের পক্ষে দুই মৌসুম বেশ ভালো খেলেন। তবে, উইকেট লাভের জন্যে তাকে ২৫ রান খরচ করতে হয়েছিল।
দল পরিবর্তন
১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে ওয়ারউইকশায়ার ক্লাবে পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে অবসর নেয়া এরিক হোলিসের পরিবর্তেই সম্ভবতঃ তিনি যুক্ত হতে পেরেছিলেন। কিন্তু, প্রয়োজনীয়সংখ্যক উইকেট লাভে ব্যর্থ হবার খেসারত গুণতে হয় তাকে। তার সাথে আর চুক্তি নবায়ণ করা হয়নি।
ইয়র্কশায়ার দল থেকে তাকে চলে আসতে হয়। ১৯৫৭ সালে ওয়ারউইকশায়ারে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে হোলিসের অবসর গ্রহণের পর নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান। তবে, তিনি মাত্র ৪৯ উইকেট লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় পেয়েছিলেন মাত্র ২৫ উইকেট। নিজের শেষ মৌসুমে একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কভেন্ট্রিতে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নেমে ১১৬ রান তুলেন। ফ্রেড গার্ডনারের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ২০৯ রান সংগ্রহ করেন।
ইংল্যান্ড দলে অসাধারণ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। তবে, তিনি কখনো কাউন্টি ক্যাপ লাভের সৌভাগ্য হননি।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এডি লিডবিটার।[২] সবগুলো টেস্টই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৫১ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৪ জানুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে কলকাতায় একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে ডার্বিশায়ারের আঘাতপ্রাপ্ত বার্ট রোডসের পরিবর্তে তার অন্তর্ভূক্তি অনেকটা আকস্মিকভাবেই ঘটেছিল। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরূপে ভারত, পাকিস্তান ও সিলন গমন করেন। তবে, দুই টেস্টে অংশ নিয়ে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি।
ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, সাধারণমানের লেগ স্পিনারের তুলনায় নিখুঁত ধাঁচের বোলার ছিলেন তিনি। তবে, তার বোলিং ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে খুব কমই কম্পিত করেছিল।[২] উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঐ সফরে তিনি রান খরচকে সীমিত করে রাখতে বোলিংয়ের ধরন পাল্টান। কিন্তু, বাদ-বাকী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাগুলো থেকে ১০০-এর কম উইকেট লাভ করেছিলেন। দুই টেস্টে অংশ নিয়ে বেশ রান খরচ করে দুই উইকেট পান।
অবসর
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর হাডার্সফিল্ড ক্রিকেট লীগে অ্যালমন্ডবারি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতেন। ৬৮ বছর বয়স অবধি খেলে হাজারের অধিক উইকেট পান।[১] ১৭ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে হাডার্সফিল্ড এলাকায় এডি লিডবিটারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ