এডি ডসন

এডি ডসন
১৯২৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে রিচার্ড লোয়ের সাথে এডি ডসন (ডানে)
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এডওয়ার্ড উইলিয়াম ডসন
জন্ম(১৯০৪-০২-১৩)১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯০৪
প্যাডিংটন, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু৪ জুন ১৯৭৯(1979-06-04) (বয়স ৭৫)
ইডমিস্টন, উইল্টশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩৩)
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৮২
রানের সংখ্যা ১৭৫ ১২৫৯৮
ব্যাটিং গড় ১৯.৪৪ ২৭.০৯
১০০/৫০ -/১ ১৪/৬৩
সর্বোচ্চ রান ৫৫ ১৪৬
বল করেছে ৫২
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ১১০/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জুলাই ২০১৯

এডওয়ার্ড উইলিয়াম ডসন (ইংরেজি: Eddie Dawson; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ - মৃত্যু: ৪ জুন, ১৯৭৯) লন্ডনের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ‘এডি’ ডাকনামে পরিচিত এডি ডসন

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

শৈশবকাল

এটন কলেজে থাকাকালে ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি তার প্রতিভা বিকাশে যথেষ্ট সচেতনতার স্বাক্ষর রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। এটনে শেষের বছরগুলোয় ১৯২২ ও ১৯২৩ সালে প্রথম একাদশের সদস্য ছিলেন। হ্যারোর বিপক্ষে পূর্ব থেকে চলে আসা নির্ধারিত খেলায় এটনের সদস্যরূপে ১৫৯ রান তুলেন। উইনচেস্টারের বিপক্ষে ১১৩ রান তুলেন। ফলে, প্রথম ছাত্র হিসেবে একই বছরে উভয় খেলায় সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বের অধিকারী হন। পঞ্চাশোর্ধ্ব গড়ে রান তুলেন তিনি। ঐ বছরগুলোয় লিচেস্টারশায়ারের সদস্যরূপে খেলার জন্যে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন।

এরপর কেমব্রিজের মাগদালেনে কলেজে ভর্তি হন। কেমব্রিজে অধ্যয়নকালে চার বছর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ফ্রেশম্যান হিসেবে ব্লুধারী হন ও ১৯২৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলকে নেতৃত্ব দেন।[] ১৯২৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় দলকে জয়ী হতে নেতৃত্ব দেন। লর্ডসে প্রশিক্ষণ ক্লাসগুলোয় এফ. ই. ল্যাসির সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে নিজেকে শক্তভাবে গড়ে তুলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯২২ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এডি ডসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে বিশ্বস্ততার পরিচয় দেন। ১৯২৮, ১৯২৯, ১৯৩১ ও ১৯৩৩ - এ চার মৌসুম লিচেস্টারশায়ার দলকে নেতৃত্ব দেন। জর্জ গিয়েরি’র কাছ থেকে প্রভূতঃ সহায়তা লাভ করেন।

১৯২৫ ও ১৯২৭ সালে লর্ডসে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান। চারবার জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে খেলেন। এছাড়াও, ১৯২৯ সালে স্যার জুলিয়েন কান একাদশের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৭.০৯ গড়ে ১২,৫৯৮টি প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন। তন্মধ্যে, চৌদ্দটি শতরানের ইনিংস ছিল। ১৯৩৪ সালে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে সর্বশেষ খেলায় সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে নিখুঁত ৯১ রানের ইনিংস উপহার দেন। গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১৪৬ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এডি ডসন। ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮ তারিখে ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে সফলতা পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে তা হতে দেখা যায়নি।

১৯২৭-২৮ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ডারবানের অভিষেক খেলায় মাত্র ১৪ ও ৯ রান তুলেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমের নিউজিল্যান্ড সফরেও এর ধারাবাহিকতা ছিল। অংশগ্রহণকৃত সাত ইনিংসের অধিকাংশ খেলাতেই তিনি ব্যর্থ ছিলেন। তাসত্ত্বেও, ওয়েলিংটন টেস্টে ৪৪ ও অকল্যান্ডে ৫৫ রান তুলেছিলেন। উভয়ক্ষেত্রেই টেড বোলির সাথে ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি ও ৫৫ রান তুলেন।

আকর্ষণীয় স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটাতেন। ব্যাটিংশৈলীতে সুন্দর কারুকাজের অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। ফিল্ডিংয়েও দক্ষতার পরিচয় দেন। অফ সাইডে অবস্থান করতেন।

ব্যক্তিগত জীবন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে কোল্ডস্ট্রিম গার্ডসের সদস্য ছিলেন। সাসেক্সের রুডল্ফ হেসে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। জীবনের শেষদিকে আউটওয়ার্ড বাউন্ড আন্দোলনে সৃজনশীল পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অনিয়মিতভাবে অংশ নিতেন।

৪ জুন, ১৯৭৯ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে উইল্টশায়ারের ইডমিস্টন এলাকায় এডি ডসনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ৭ জুলাই ২০১৯
  2. "CUCC Captains"। Cambridge University Cricket Club। 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!