একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সমবায় সমিতি ভিত্তিক একটি দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিকল্পনা।[১] এই প্রকল্পটির আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে তৈরি করার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।[২]
ইতিহাস
'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়; কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদকাল এক বছর কমিয়ে আনা হয়।[৩]
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
২০২০ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্রতার হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।[২] সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলির কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়াসে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।[৪]
কর্মপদ্ধতি
“একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পে প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য সমবায় ভিত্তিক ‘গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন’ সৃষ্টি করে সদস্যদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয় এবং সেই সাথে দরিদ্রদের মধ্যে দুগ্ধবতী গাভি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও ফসলের বীজ বিতরণ করা হয়।[৩]
প্রকল্প এলাকা ও বাস্তবায়ন ধাপ
এই প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪,৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০,৯৫০টি গ্রামে বাস্তবায়িত হচ্ছে।[২]
ব্যয় ও অর্থের যোগান
প্রাথমিক অবস্থায় এই প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম সংশোধনীতে তা পুনরায় ১, ৪৯৩ কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়; যেটি বর্তমানে চলমান দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৩,১৬৩ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।[৩]
বর্তমান অবস্থা
এই প্রকল্পের বর্তমান মূলধন ৮,০০০ কোটি টাকা এবং গঠিত সমিতির সংখ্যা ৮০,০০০।[১] প্রথম সংশোধিত প্রকল্পটির কার্যক্রম দেশের মোট ১,৯৩২টি ইউনিয়নে চলমান আছে; যেটি পুনরায় সংশোধন করে দেশের সকল ইউনিয়নে (৪,৫০৩টি ইউনিয়ন) বিস্তৃত করা হয়েছে।[৩]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ