একটি না-বলা গল্প ২০২৩ সালের বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত নাট্য চলচ্চিত্র। এটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য রচনার সাথে পরিচালনা করছেন পঙ্কজ পালিত । এটি পঙ্কজ পালিত পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।[১] প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন রওনক হাসান, প্রাণ রায়, ও রুনা খান[২]
পটভূমি
১৯৮৮ সাল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ উত্তাল হয়। আন্দোলনকারীদের দমন করতে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর, পুলিশের গুলিতে মারা যায় এক তরুণ। হাসপাতালের বিছানায় সেই তরুণ যখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন তার বাবা সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের এমন কিছু কথা বলবেন, যা এত দিন তিনি গোপন রেখেছিলেন। বেরিয়ে আসে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য। জানা যায়, এত দিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা নিলেও তিনি আসলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এমন এক রহস্যময় গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে এই সিনেমায়।[৩][৪]
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর লেখা ‘অন্য আলো’য় ‘মৃত্যু যেভাবে বাঁচায়’ নামে একটা গল্প পড়েন পঙ্কজ পালিত। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই গল্প নিয়ে সিনেমা বানাবেন। বিশ্বজিৎ চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সেই গল্প অবলম্বে চিত্রনাট্য লিখে অনুদানের জন্য জমা দেন পংকজ। ২০১৯ - ২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েই তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন।[৫]
চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি শুরু হয়। এর বেশি ভাগ দৃশ্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান, পুবাইল ও নবাবগঞ্জে ধারণ করা হয়েছে।[৬]
মুক্তি
২০২৩ সালের ১০ মার্চ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়[৭][৮]
তথ্যসূত্র
↑BonikBarta। "রুনার 'একটি না বলা গল্প'"। রুনার ‘একটি না বলা গল্প’ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৫।