ঊষা উপাধ্যায় |
---|
|
জন্ম | ঊষা ঘনশ্যাম উপাধ্যায় (1956-06-07) ৭ জুন ১৯৫৬ (বয়স ৬৮) ভাবনগর, গুজরাত, ভারত |
---|
পেশা | লেখক, কবি, অধ্যাপক |
---|
ভাষা | গুজরাতি |
---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
---|
শিক্ষা | এমএ, পিএইচডি |
---|
ড. ঊষা ঘনশ্যাম উপাধ্যায়(জন্ম: ৭ জুন ১৯৫৬) গুজরাতি ভাষার একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি জন্মেছিলেন বর্তমান গুজরাত রাজ্যের ভাবনগরে। গুজরাতি সাহিত্যে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। তিনি বর্তমানে আহমেদাবাদ শহরের গুজরাত বিদ্যাপীঠ এর গুজরাতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরত আছেন।
জীবনী
তিনি ১৯৫৬ সালের জুন মাসের ৭ তারিখে ভাবনগরে জন্মেছিলেন।[১][২] তিনি গুজরাতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণামূলক প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল 'সিম্বলস ইন পোস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্স গুজরাতি পোয়েট্রি'। তিনি গুজরাতের আহমেদাবাদ শহরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত গুজরাত বিদ্যাপীঠের গুজরাতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। তিনি গুজরাতি লেখক সমিতির সহসভাপতি।[১][২][৩] বর্তমানে তিনি ভারতের গুজরাত প্রদেশের আহমেদাবাদ শহরে বাস করেন। তিনি গুজরাতি কবিতাকোষ এর সহকারী সম্পাদক।[৪]
সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু নাটক, ছোটগল্প,কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন।[১] জল বিল্লোরি (১৯৯৮), অরুন্ধাতিনো তারো (২০০৬) এবং শ্যাম পাখি আভ আভ (২০১৩) তার কবিতা সংকলন। মস্তিখোর মানিয়ো (২০০৪) তার একাঙ্ক নাটকের সংকলন।[১][৩] তিনি শিশুদের জন্য ১৯৯৯ সালে এক হাতি রূপা রচনা করেন।
ইকশিত (১৯৯০), সাহিত্য সান্নিধ্যি (১৯৯৮), আলোকপ্রভা (২০০৫), সম্প্রাত গুজরাতি সাহিত্য (২০০৮), আকশার্নে আজভালে (২০০৯), গুজরাতি সংশোধন-সম্পাদন (২০০৯) তার সমালোচনা গ্রন্থ। এছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন আধিত ১৫-১৯ (১৯৯২-১৯৯৬), জাহ্নবী স্মৃতি - ২,৩ (১৯৯৬,১৯৯৭), গুজরাতি চয়ন (১৯৯৯,২০০০), সার্জান প্রাক্রিয়া আনে নারীচেতনা (২০০৬), গুজরাতি লেখিকাওনি প্রতিনিধি ভার্তাও (২০০৬), গুজরাতি লেখিকাওনা প্রতিনিধি নিবন্ধ (২০০৬), গুজরাতি লেখিকাওনা প্রতিনিধি আত্মকথা (২০০৬)[১][৩] মাত্রুভাশ্নু মহিমাজ্ঞান (২০১০), উর্মিকবি হানালাল (২০১২), কাবির্না আমারসুত্র সম্পাদনার সাথে। ভান্দালি সারোবর (১৯৯৯)[১][৩] ও কবিবর রাজেন্দ্র শাহ অউর উনকি কবিতা (২০০৩, হিন্দি) তার অনুবাদগ্রন্থ। এছাড়াও তিনি গুজরাতি সাহিত্য জ্ঞান সংবাদ- নিম্বান্ধো (২০০৬, ২০১২), শুন্যতামা পুরেলা দারিয়ানো তারখার (২০০৭) ও রাধাকৃষ্ণ ভিনা বিজু বোল মা (২০০৭) রচনার সাথে যুক্ত ছিলেন।[১][৩]
তার লেখা কবিতা বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, হিন্দি, সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[২]
পুরস্কার
সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে।
গুজরাতি সাহিত্য পরিষদ তাকে বাটুভাই উমারওয়াদিয়া পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়াও তাকে ভগিনী নিবেদিতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌর উত্তর প্রদেশ হিন্দি সংস্থান তাকে সৌহার্দ্য সম্মান পুরস্কার প্রদান করে।[২]
তথ্যসূত্র