উজিরে আজম, তুর্কি ভাষায় Vezir-i Azam বা Sadr-ı Azam (Sadrazam) (উসমানীয় তুর্কি ভাষায় صدر اعظم or وزیر اعظم ) হল উসমানীয় সুলতানের অধীন সর্বোচ্চ মন্ত্রীর পদ। আরবি وزير শব্দ থেকে এই শব্দের উৎপত্তি। তিনি পাওয়ার অব এটর্নি হিসেবে সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করতেন। সুলতান ছাড়া আর কেউ তাকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা রাখত না।[১] তিনি রাজকীয় সীলমোহর ব্যবহার করতেন এবং রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে অন্যান্য উজিরদের নিয়ে সভা আহ্বান করতে পারতেন। সাবলিম পোর্টেতে তার কার্যালয় অবস্থিত ছিল। পাকিস্তানেরপ্রধানমন্ত্রীকেওউর্দুতে উজির-এ-আজম বলে ডাকা হয়।
উসমানীয়দের বর্ধিষ্ণুকালে শুধুমাত্র “উজির” পদবিটি ব্যবহার করা হত। প্রথম উসমানীয় উজির যাকে “উজিরে আজম” পদবি দেয়া হয় তিনি হলেন চেনডারলি কারা হালিল হায়রেদ্দিন পাশা। এই পদবী প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিল যাতে সুলতানের সীলমোহরধারী উজিরের সাথে অন্য উজিরদের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। উজিরে আজম শব্দটি পরবর্তীতে সদরআজম শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। তবে এই দুটি শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে। উসমানীয় যুগে উজিরে আজমকে সদর-ই আলি(ইংরেজি "high vizier"), ভেকিল-ই মুতলাক(ইংরেজি "absolute attorney") , সাহিব-ই দেভলেত(ইংরেজি "holder of the state"), সেরদার-ই আজম এবং যাত-ই আসাফি(ইংরেজি "vizieral person") বলেও ডাকা হত।
কোপরুলু যুগে(১৬৫৬-১৭০৩) উসমানীয় সাম্রাজ্য বেশ কয়েকজন ক্ষমতাশালী উজিরে আজম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রশাসনের নিচের দিকে ক্ষমতার প্রবাহ কোপরুলু যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল।