ইসলামি কেন্দ্র (আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ-আল-সুলতান মুহাম্মদ তাকুরুফানু আল আউযাম নামে পরিচিত) মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত একটি স্থাপত্য নিদর্শন যা ১৯৮৪ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম স্থাপন করেন।[১]
মহা জামে মসজিদটি মালদ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত, যা মালদ্বীপের সুপ্রসিদ্ধ নায়ক সুলতান মুহাম্মদ তাকুরুফানু আল আউযামের নামে নামকরণ করা হয়। মসজিদটি মালদ্বীপের বৃহত্তম, এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ যা ৫০০০ এর অধিক লোক ধারণ করতে পারে।[১]
কেন্দ্রে এছাড়াও একটি সম্মেলন হল রয়েছে যেখানে দাপ্তরিক বৈঠক ও অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, এখানে একটি ইসলামি গ্রন্থাগার এবং কিছু সংখ্যক অফিস ও রয়েছে।[১]
কেন্দ্রে এছাড়াও ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘর রয়েছে যা ১১ নভেম্বর ২০০৮ এর অগে যা সুপ্রিম কাউন্সিল অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স নামে পরিচিত ছিল, যেটি সাবেক সভাপতি মামুন আব্দুল কাইয়ূম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]
উপরন্তু, ইসলামি কেন্দ্রের অবস্থান মালে এর প্রধান জেটির কাছাকাছি এবং মসজিদের সুন্দর স্থাপত্য শিল্পের কারণে এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত। মসজিদের জাঁকজমকপূর্ণ সুবর্ণ গম্বুজ মালের দিগন্ত রেখার উপর আরো স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। মসজিদের জ্বলজ্বলে সুবর্ণ গম্বুজের স্বতন্ত্রতার পাশাপাশি এর অভ্যন্তরের দেয়াল সুন্দর কাঠ এর ভাস্কর্য এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সাজানো হয়। কেন্দ্রে এছাড়াও একটি গ্রন্থাগার এবং একটি সম্মেলন কক্ষ রয়েছে। মালে এর সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন হল তিন তলা বিশিষ্ট ইসলামি কেন্দ্র যা নভেম্বর ১৯৮৪ সালে উন্মুক্ত হয়। কেন্দ্রের বড় জুমার মসজিদ, মসজিদ-আল-সুলতান মুহাম্মদ তাকুরুফানু আল আযম হল মালদ্বীপ এর সবচেয়ে বড় মসজিদ, যা ৫০০০ এরও বেশি মানুষ ধারণ করতে পারে।[১]