ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেটি ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রচার করে এবং সে সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করে।[২][৩] ফাউন্ডেশনটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, যেটি ৭টি বিভাগীয় কার্যালয়, ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২৯টি ইসলামিক প্রচারণা কেন্দ্রের সহায়তায় কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করে। ফাউন্ডেশনটির মহাপরিচালক হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী।
১৯৫৯ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় ইসলামের শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। বায়তুল মোকাররম সোসাইটি নির্মাণ করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ (আরবি: بيت المكرّم) এবং ওলামাগণ, ইসলামি দর্শন, সংস্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে সহজে পৌছে দেওয়ার জন্য এবং তা নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম।[২] ১৯৬০ সালে দারুল উলুমকে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী একাডেমী নামে নামকরণ করা হয়, যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আবুল হাশিম এবং একে করাচি ভিত্তিক সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ এর একটি শাখা হিসেবে রুপান্তর করা হয়।[২]
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত সমর্থন ও সহায়তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ইসলামিক একাডেমীকে।[৪] একাডেমীটিকে সে সময় রাজনীতিকে ইসলামিকরণের জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল।[৪] বর্তমান সংস্থাটি ১৯৭৪ সালে কার্যকর হয়েছিল, যখন শেখ মুজিবুর রহমান একে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হিসাবে উদ্বোধন করেন।[৫]
১৯৭৮ সালের ২০-২২শে মার্চ ফাউন্ডেশনটি ও.আই.সি.'র সৌজন্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।[২] ১৯৭৯—৮০ সালে ফাউন্ডেশনটির উন্নয়ন নতুন করে গতিবেগ লাভ করে।[২]