ইসলামিক ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্ট

ইসলামিক ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্ট
আধ্যাত্মিক উত্তরসূরিইসলামি ইরান জনগণ পার্টি ইউনিয়ন[]

ইসলামিক ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্ট বা জেবহে মোশারেকাত ইরান-ই ইসলামী হলো ইরানের একটি সংস্কারবাদী রাজনৈতিক দল। এটি ২য় খোরদাদ ফ্রন্টের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে বিবেচিত হতো।[] এই দলটি ষষ্ঠ মজলিসে ২৯০ আসনের মধ্যে ১৮৯টি (৬৫%) আসন পেয়েছিল।[] ২০০৯-২০১০ সালে ইরানে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিক্ষোভের পর দলটির লাইসেন্স বাতিল করা হয় এবং দলটিকে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।[]

ইতিহাস

১৯৯৮ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত [১০] ইসলামিক ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্ট এর প্রধান স্লোগান হলো "সব ইরানির জন্য ইরান"। [] দলটি ইরানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রতি সমর্থন জানিয়েও গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলনের দাবী জানায়। তবে দলের কিছু সদস্য বিভিন্ন মতাদর্শ ও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। সাঈদ হাজ্জারিয়ান এই দলকে "দুই আব্বাসের মধ্যে থাকা দল" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা আব্বাস দুজদুজানি (ডানপন্থী) এবং আব্বাস আবদি (বামপন্থী) এর মধ্যে পার্থক্যের প্রতি ইঙ্গিত করে)।[১১] এই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজা খাতামি (ইরানের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামি-এর ভাই)। পরবর্তীতে দলটির নবম কংগ্রেসে মোহসেন মিরদামাদি নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল মজলিস নির্বাচন বা পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ রেজা খাতামি, এলাহে কুলাই, মোহসেন মিরদামাদি এবং আলী শাকুরি-রাদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে। ২০০৫ সালের বসন্তে দলটি মোস্তফা মইন-কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থন দেয়। দলের অনানুষ্ঠানিক দৈনিক একবালও তাকে সমর্থন জানায়। তবে ২০০৫ সালের জুলাইয়ে এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।[]

সদস্যগণ

দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্র হল সেন্ট্রাল কাউন্সিল, যেখানে ত্রিশজন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সদস্য হলেন:[]

নিষেধাজ্ঞা

২০০৯ সালের ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরবর্তী প্রতিবাদের পরে ২০১০ সালের এপ্রিলে সরকার দলটিকে এবং ইরান ইসলামি বিপ্লব মোজাহেদিন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে।[১২] কয়েক সপ্তাহ পরে মার্চ মাসে ইরানি বিচার বিভাগ দলটিকে নিষিদ্ধ করে এবং তাদের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। তাদের এমন সময় নিষিদ্ধ করা হয় যখন তারা বার্ষিক বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। দলটি এই পদক্ষেপকে "অবৈধ কার্যক্রম" বলে আখ্যায়িত করে।[১৩][১৪] ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে প্রসিকিউটর-জেনারেল প্রেসকে জানান যে, দলটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের আর কোনো কার্যক্রম চালানোর অনুমতি নেই। দলটি জানায়, তারা এই ধরনের কোনো আদেশের নোটিশ পায়নি এবং তাই আদেশ কার্যকর করা সম্ভব নয়। তারা আপিলের সুযোগের দাবি জানায়।[১৫] নভেম্বর ২০১১ সালে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে দলটির লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণে তারা ২০১২ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।[১৬]

  1. "ইরানের বিপন্ন সংস্কারবাদী দল আবার কিভাবে পুনর্জীবিত হলো"তেহরান ব্যুরো। দ্য গার্ডিয়ান। ৭ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬ 
  2. মোহাম্মদ আলী জান্ডি। "ইসলামিক ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্ট" (ফার্সি ভাষায়)। বাকির আল-উলুম গবেষণা কেন্দ্র। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "ইরানে অনুমোদিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা"খোরাসান সংবাদপত্র। পার্স টাইমস। 30 জুলাই, 2000। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ 21 আগস্ট 2015  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. "আন্তর্জাতিক এশীয় রাজনৈতিক দল সম্মেলনের ৪র্থ সাধারণ অধিবেশন: অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষকদের তালিকা" (পিডিএফ), আন্তর্জাতিক এশীয় রাজনৈতিক দল সম্মেলন, ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬, ১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. "ইসলামী ইরান অংশগ্রহণ ফ্রন্ট" (পিডিএফ)ইরান ডেটা পোর্টাল। ২০০৯। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৩ 
  6. মোহাম্মাদিঘালেহতাকি, আরিয়াবারজান (২০১২)। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর রাজনৈতিক দলে সংগঠনগত পরিবর্তন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র পার্টি (IRP) এবং ইসলামী ইরান অংশগ্রহণ ফ্রন্ট পার্টি (মোশারেকাত)-এর ক্ষেত্রে বিশেষ অধ্যয়ন (পিএইচডি থিসিস)। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় 
  7. ১/৯/২০০১ ২য় খোরদাদ ফ্রন্টকে তাদের কাজের প্রতিটি দিক নিয়ে ভাবতে হবে: দৈনিক ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে নেট নেটিভ
  8. ভ্যালেন্টাইন এম. মোঘাদাম, ফাতেমেহ হাঘীঘাতজু (মার্চ ২০১৬)। "নারী এবং কর্তৃত্ববাদী প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতৃত্ব: ইরানের ষষ্ঠ পার্লামেন্টের একটি অধ্যয়ন" (পিডিএফ)পলিটিকস অ্যান্ড জেন্ডার। আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের নারী এবং রাজনীতি গবেষণা বিভাগ। 12 (1): 168–197। এসটুসিআইডি 147214983ডিওআই:10.1017/S1743923X15000598 
  9. নাজাহ মোহাম্মদ আলী (৪ নভেম্বর ২০১১), "ইরান তিনটি সংস্কারবাদী দলকে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ করেছে", আল আরাবিয়া, সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২২ 
  10. "জেবহে-ই মোশারেকাত-ই ইরান-ই ইসলামী" (পিডিএফ)। স্যাক্রামেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৬ 
  11. "اصلاح طلب کیست, اصلاح طلبی چیست"। ২০১৬-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১৮ 
  12. Robert F. Worth (১৯ এপ্রিল ২০১০), "Iran Mutes A Chorus of Voices for Reform", The New York Times, সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ 
  13. "Iran Said To Ban Activities Of Largest Reformist Party", Radiofreeeurope/Radioliberty, Reuters, ১৫ মার্চ ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ – Radio Free Europe/Radio Liberty-এর মাধ্যমে 
  14. Arash Bahmani (৮ অক্টোবর ২০১০), "Court Denies Mosharekat Party's Dissolution", RoozOnline, সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ 
  15. Michael Theodoulou (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০), "Iran bans two leading reformist political parties", The National, সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ 
  16. Najah Mohammad Ali (৪ নভেম্বর ২০১১), "Iran bans three reformist parties from participating in upcoming polls", Al Arabiya, সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!