ইকরা রসুল (জন্ম ১৫ই আগস্ট ২০০০) হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি 'বারামুল্লার সুপারগার্ল' নামেও পরিচিত।[১] তিনি উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত রাফিয়াবাদেরডাঙ্গিওয়াচা থেকে এসেছেন এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ স্তরে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২]
২০১৭ সালে, মুম্বাইতে 'উই দ্য উইমেন'[৩] এর একটি অধিবেশনে, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ ইকরা রসুলকে একটি 'এইচ.ই.আর' (এইচ অর্থাৎ হোপ বা আশা, ই অর্থাৎ এমপাওয়ার বা ক্ষমতায়ন এবং আর অর্থাৎ রাইজ বা উত্থান) পুরস্কার প্রদান করেন। এই পুরস্কার তাঁদেরই দেওয়া হয় যাঁরা "নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছেন এবং প্রায়শই ঝুঁকি নিয়েছেন, প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করেছেন বা সাফল্যের অন্বেষণে নিয়মগুলি পুনর্লিখন করেছেন"।[৪][৫]
প্রাথমিক জীবন
তাঁর বাবা গোলাম রসুল লোন একজন বেকারির মালিক এবং ছয় ভাইবোনের মধ্যে ইকরা সবার ছোট।[৬][৭]
তিনি নিজের রাজ্যের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অমৃতসর, হরিয়ানা, গোয়া, হিমাচল এবং জম্মুতে চারবার খেলেছেন। এর আগে তিনি স্কুলে তাঁদের স্কুল দলেও খেলেছিলেন। ২০১৩ সালে, আন্তঃজেলা টুর্নামেন্টে তাঁর দুর্দান্ত প্রদর্শনের উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেকেসিএ) তাঁকে নির্বাচিত করে।[৮] তিনি অনূর্দ্ধ ১৯ এবং অনূর্দ্ধ ২৩ স্তরের খেলায় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[৮] রসুল বলেছেন যে তিনি বিরাট কোহলি এবং পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের ভক্ত।[২][৯]
ক্রিকেট জীবন
অমৃতসর, হরিয়ানা, গোয়া, হিমাচল এবং জম্মুতে রসুল চারবার জাতীয় স্তরে তাঁর রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১০] ২০১৫ সালে, তিনি তেলঙ্গানায় একটি টুর্নামেন্ট খেলেন এবং অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলার সময় ফাইনালে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন।[১১]
২০১৭ সালের মে মাসে, তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন এবং বাংলার হয়ে খেলার জন্য আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসে যোগ দেন। এরপর, জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনাপত্তি শংসাপত্র (এনওসি) পাওয়ার পরে তিনি ভারতের মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে চান। তাঁর প্রশিক্ষক হলেন আব্দুল মোনায়েম। ইকরা বর্তমানে ঘরোয়া পর্যায়ে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন।[৮] ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের হিসেব অনুযায়ী, ইকরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) এর অধীনে ইডেন গার্ডেনের ইনডোর সুবিধাগুলিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।[১২]
মাইকেল ক্লার্ক ক্রিকেট একাডেমি এবং সদ্য খোলা আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসের মধ্যে একটি টাই-আপ চুক্তি হিসাবে, ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্ক ঘোষণা করেছেন যে ১২ দিনের প্রোগ্রামে সিডনিতে তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা ভ্রমণ করবেন। এই দলে ইকরা রসুলও রয়েছেন।[১৩][১৪]