আসাদ ভোপালি (জন্ম: আসাদুল্লাহ খান; ১০ জুলাই ১৯২১ - ৯ জুন ১৯৯০) একজন ভারতীয় কবি ও গীতিকার। গুলজার ও শৈবাল চ্যাটার্জি সম্পাদিত এনসাইক্লোপিডিয়া অব হিন্দি সিনেমা-য় তাকে "হিন্দি চলচ্চিত্রের গীতে অবদান রাখা অল্প কয়েকজনের একজন" হিসেবে উল্লেখ করে।[১] তিনি ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের "দিল দিওয়ানা" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। তার রচিত অন্যান্য জনপ্রিয় গান হল "অ্যায় মেরে দিল-এ-নাদাঁ", "হাম তুম সে জুদা হো কে", "ও জব ইয়াদ আয়ে", ও "হাসতা হুয়া নূরানি চেহরা"।[২] ১৯৯৫ সালে মরণোত্তর তার কবিতার সংকলন রোশনি, ধুপ, চান্দনি" প্রকাশিত হয়।
প্রারম্ভিক জীবন
আসাদ ভোপালি ১৯২১ সালের ১০ই জুলাই তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতেরভোপাল রাজ্যের (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ, ভারত) ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম আসাদুল্লাহ খান। তার পিতা মুনশি আহমেদ খান আরবি ও ফার্সি ভাষার শিক্ষক ছিলেন। আসাদ তার পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার ছোট ভাই কামার জামালি একজন উর্দু ভাষার কবি।
কর্মজীবন
চলচ্চিত্র প্রযোজক যুগল ফজলি ভ্রাতৃদ্বয় আসাদকে আবিষ্কার করেন। ভারত বিভাজনের পর তাদের নির্মাণাধীন দুনিয়া চলচ্চিত্রের গীতিকার আরজু লখনবি নবগঠিত পাকিস্তানে চলে গেলে, তারা একজন নতুন গীতিকারের খোঁজ করছিলেন। ১৯৪৯ সালের ৫ই মে ভোপাল টকিজে এক মুশায়রায় ভোপালির আবৃতি শোনে তারা মুগ্ধ হন এবং তাকে বোম্বেতে আসার আমন্ত্রণ জানান। ১৯৪৯ সালের ১৮ই মে ২৮ বছর বয়সে ভোপালি হিন্দি চলচ্চিত্রে গীতিকার হিসেবে কাজ করতে বোম্বেতে পাড়ি জমান। ভোপালি দুনিয়া চলচ্চিত্রের দুটি গান লিখেন।[৩] এরপর তিনি বি. আর. চোপড়ারআফসানা (১৯৫১) এবং বাবুভাই মিস্ত্রী পরিচালিত ও লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল সুরারোপিত পারসমণি (১৯৬৩) চলচ্চিত্রের গান লিখেন।[৩]
আসাদ ভোপালি দুইবার বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা। তাদের দুই পুত্র ও ছয় কন্যা ছিল। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে তার পুত্র গালিব আসাদ ভোপালি জন্মগ্রহণ করেন। গালিব একজন চলচ্চিত্রকার ও গীতিকার।
তিনি ১৯৯০ সালের ৯ই জুন বোম্বেতে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]