আশুতোষ কালী |
---|
আশুতোষ কালী |
জন্ম | ১৮৯১
|
---|
মৃত্যু | ৭ আগস্ট, ১৯৬৫
|
---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
---|
পেশা | বিপ্লবী |
---|
পিতা-মাতা | ঈশ্বরচন্দ্র কালী |
---|
আশুতোষ কালী (১৮৯১ — ৭ আগস্ট, ১৯৬৫) একজন বাঙালী ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদী।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
আশুতোষ কালী বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার বিলাসখানে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল ঈশ্বরচন্দ্র কালী। শ্রীহট্ট কলেজে পড়াকালীন অনুশীলন সমিতির সাথে যুক্ত হয়ে যান এবং প্রধান নেতা পুলিনবিহারী দাসের সংস্পর্শে সশস্ত্র বিপ্লববাদে দীক্ষা নেন।
সশস্ত্র সংগ্রাম
তৎকালীন পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি চন্দ্রকোণা রাজনৈতিক ডাকাতি, ১৯১৫ সালে পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট যতীন্দ্রমোহন ঘোষ হত্যা এবং ইন্দো- জার্মান ষড়যন্ত্রে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। অনুশীলন সমিতির ময়মনসিংহ জেলার সংগঠক হিসেবে কাজ করতেন। কিছুকাল কুমিল্লার রায়পুরে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদে গ্রেফতার হয়ে ১৯১৬-৩৮ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে প্রায় ২২ বছর বন্দী ছিলেন এই বিপ্লবী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বিপ্লবী সংগঠনের প্রস্তুতির জন্যে আত্মগোপন করে কাজ করতে থাকেন। ১৯৪০ সালে আবার গ্রেপ্তার হন বিপ্লবাত্মক কর্মকান্ডের জন্য। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি লাভ করেন। তার গোটা পরিবারই বিপ্লবের জন্যে নিবেদিত প্রাণ ছিল। তাদের অনেকেই কারাবাস যাপন করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্যে।[২]
কংগ্রেসী রাজনীতিতে
আশুতোষ কালী ফরিদপুর জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন। বহুদিন যাবত বঙ্গীয় প্রাদেশিক ও নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্যপদ অলংকৃত করেন। বিলাসখান জাতীয় বিদ্যালয় ইত্যাদি নানা ধরনের সামাজিক সংগঠন স্থাপনা ও পরিচালনা করেছেন। জেল থেকে মুক্তির পরে আবার শিক্ষকতায় যোগ দেন।[৩] স্বাধীন ভারতে বৃদ্ধ ও অসহায় বিপ্লবীদের আশ্রয়কেন্দ্র 'অনুশীলন ভবন' স্থাপনা করেন।[২]
মৃত্যু
৭ আগস্ট, ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তারই স্থাপিত 'অনুশীলন ভবনে'র দ্বিতল থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।[২]
স্মরণ
কলকাতা শহরে তার স্মৃতিতে 'বিপ্লবী আশুতোষ কালী সরণী' বর্তমান।[৪]
তথ্যসূত্র