আলী হাসিমশাহ ওমরশাহ (গুজরাটি: અલી શાહ; জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৯৫৯) রোডেশিয়ার সলসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন আলী শাহ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত আলী শাহের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। হারারের মরগ্যান হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেছেন।[১]
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফলে, অনুশীলন ও খেলায় পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী টেস্টে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু, খেলা শুরুর প্রাক্কালে পায়ে ব্যথা ও গোড়ালীতে আঘাত পেলে খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও ২৮টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আলী শাহ। ১ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমের শেষদিকে ভারত গমন করেন। এরপরের বছর আবারও খেলেন। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী আরও প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়ের সন্ধান পেলে তাকে দলে বাইরে রাখে। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললে পুনরায় তাকে জাতীয় দলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শ্রীলঙ্কা সফরে যান। কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা ৬২ রান তুলেন। এটিই তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ ছিল।
১৯৮৩, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ - এ তিনটি বিশ্বকাপে সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল আলী শাহের। এছাড়াও, ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে আইসিসি ট্রফি বিজয়ী জিম্বাবুয়ে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
অবসর
খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে থাকেন। লোগান কাপে ম্যাশোনাল্যান্ডের পক্ষে খেলেন তিনি।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরপর জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে মনোনীত হন। ২০০৪ সালে অধিনায়ক হিথ স্ট্রিকের অব্যাহতি প্রদানের পরপরই তাকেও এ দায়িত্ব থেকে চলে আসতে হয়েছিল।[২]