শিহাব আল-দিন আবু ই-আব্বাস আহমাদ ইবন আলি ইবন আহমাদ আবদ আল্লাহ আল-কালকাশান্দি আল-ফাজারি[১] বা আল-কালকাশান্দি (১৩৫৫ বা ১৩৫৬ - ১৪১৮) ছিলেন একজন মধ্যযুগীয় মিশরীয় বিশ্বকোষ রচয়িতা, বহুশাস্ত্রজ্ঞ ও গণিতবিদ। নীল বদ্বীপে জন্মগ্রহণকারী আল-কালকাশান্দি মিশরেরকায়রোরমামলুক দরবারের কাতিব আল-দর্জ বা কেরানি নিযুক্ত হন। তার শ্রেষ্ঠ কর্ম হল একাধিক খণ্ডবিশিষ্ট প্রশাসনিক বিশ্বকোষ সুবহ্ আল-আ'শা।
সুবহ্ আল-আ'শা
সুবহ্ আল-আ'শা ফি সিনা'য়াত আল-ইনশা হল ১৪ খণ্ডে রচিত বিশ্বকোষ। ১৪১২ সালে এর রচনা সমাপ্ত হয়। এটি ভূগোল, রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রাকৃতিক ইতিহাস, প্রাণিবিদ্যা, খনিবিজ্ঞান, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডবিদ্যা, ও সময় পরিমাপ সম্পর্কিত প্রশাসনিক নির্দেশিকা। শিহাব আল-উমারিরমাসালিক আল-আবসার ফি মামালিক আল-আমসার[২] অবলম্বনে রচিত বইটিকে আরবি প্রশাসনিক সাহিত্যের চূড়ান্ত প্রতিলিপির একটি বলে অভিহিত করা হয়।[৩] প্রারম্ভিক ইসলামী যুগ থেকে শুরু করে মামলুক যুগ পর্যন্ত সরকারের গদি নির্বাচন ও রাজ্যের আইনকানুন পৃথকভাবে প্রকাশিত হয়।[৪]ইবন আল-দুরাইহিম (১৩১২-১৩৬১) তথ্যগুপ্তিবিদ্যার উপর একটি বই লিখেছিলেন যাতে আল-সুবহ্ আল-আ'শা বইয়ের একটি বিষয়ের বর্ণনা ছিল। দুরাইহিমও তথ্য ব্যাখ্যাকরণের উৎস এবং তথ্যগুপ্তি বিশ্লেষণের উপর কাজ করেছিলেন, যেমন অক্ষর বিন্যাসের জন্য তালিকার ব্যবহার এবং একই শব্দে যেসব অক্ষর ব্যবহার হতে পারে না সেসব অক্ষর। সুবহ্ আল-আ'আশা ছিল সাংকেতিক লিপির বিকল্প ও স্থানবিন্যাসের প্রথম প্রকাশিত আলোচনা, এবং বহুলিপিয় সাংকেতিক লিপির প্রথম বর্ণনা, যেখানে প্রতিটি তথ্যগুপ্তিকৃত অক্ষরের জন্য একের অধিক বিকল্প নির্ধারণ করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
↑বসওয়ার্থ, সি. ই. (২৪ এপ্রিল ২০১২)। পি. বিয়ারম্যান; ত. বিয়াঙ্কোয়া; সি. ই. বসওয়ার্থ; ই. ভ্যান ডোনজেল; ডব্লিউ. পি. হাইনরিখস, সম্পাদকগণ। al-Ḳalḳas̲h̲andī। এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, দ্বিতীয় সংস্করণ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২০।
↑মেইসামি, জুলি স্কট; স্টার্কি, পল, সম্পাদকগণ (১৯৯৮)। "al-Qalqashandi"। Encyclopedia of Arabic Literature (ইংরেজি ভাষায়)। ২। রুটলেজ। পৃষ্ঠা ৬২৯।
↑এল-তুডি, হেবা; আবদেলহামিদ, তারেক জালাল (সম্পাদকগণ), Selections from Ṣubḥ al-A‘shā by al-Qalqashand ī, Clerk of the Mamluk Court: Egypt: “Seats of Government ” and “Regulations of the Kingdom ”, from Early Islam to the Mamluks', Al-Masāq: Journal of the Medieval Mediterranean (2017) (ইংরেজি ভাষায়)।