আর্থার ল্যাংটন
আনুমানিক ১৯৩৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্থার ল্যাংটন |
|
পূর্ণ নাম | আর্থার চাদলেই বিউমন্ট ল্যাংটন |
---|
জন্ম | (১৯১২-০৩-০২)২ মার্চ ১৯১২ পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
মৃত্যু | ২৭ নভেম্বর ১৯৪২(1942-11-27) (বয়স ৩০) মেইদুগুরাই, নাইজেরিয়া |
---|
ডাকনাম | চাদ |
---|
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম ডানহাতি মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৯) | ১৫ জুন ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
এফসি |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
১৫ |
৫২ |
রানের সংখ্যা |
২৯৮ |
১২১৮ |
ব্যাটিং গড় |
১৫.৬৮ |
১৯.৯৬ |
১০০/৫০ |
০/২ |
০/৭ |
সর্বোচ্চ রান |
৭৩* |
৭৩* |
বল করেছে |
৪১৯৯ |
১১৩১৭ |
উইকেট |
৪০ |
১৯৩ |
বোলিং গড় |
৪৫.৬৭ |
২৫.৭৪ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
১ |
৯ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
০ |
২ |
সেরা বোলিং |
৫/৫৮ |
৬/৫৩ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৮/- |
৪১/- | |
|
---|
|
আর্থার চাদলেই বিউমন্ট চাদ ল্যাংটন (ইংরেজি: Arthur Langton; জন্ম: ২ মার্চ, ১৯১২ - মৃত্যু: ২৭ নভেম্বর, ১৯৪২) নাটাল প্রদেশের পিটারমারিৎজবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন আর্থার ল্যাংটন।
টেস্ট ক্রিকেট
জোহেন্সবার্গের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন আর্থার ল্যাংটন।[১] লম্বাটে গড়নের লালচে চুলের অধিকারী ছিলেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার।[২] ১৫ জুন, ১৯৩৫ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আর্থার ল্যাংটনের।
১৯৩৫ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ হয় তার। টেস্ট অভিষেকে সেখানেই তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে নিয়ে ২/৫৮ ও ৪/৩১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে আট নম্বরে নেমে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে ইংল্যান্ডের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট জয়ে অমূল্য অবদান রাখেন। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে কৃতিত্ব দেখায়।[৩][৪]
১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ডারবানে অসীম সময়ের টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। আট-বলে গড়া ৯১ ওভার বোলিং করেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, এক টেস্টে সর্বকালের সর্বাধিক বোলিং তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি।[৩]
জ্যাক ফিঙ্গলটনের দৃষ্টিতে তার দেখা অন্যতম সেরা মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন আর্থার ল্যাংটন।
বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। লকহিড বি৩৪ ভেঞ্চুরা বোমারু বিমান ভূপাতিত হলে ৩০ বছর বয়সে নাইজেরিয়ায় তার দেহাবসান ঘটে।[৩][৫]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ