আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (বর্মী: အာရ်ကန်ရိုဟင်ဂျာ ကယ်တင်ရေးတပ်မတော်; সংক্ষেপে আরসা; ARSA),[৪][৫][৬] পুরনো নাম হারাকাহ আল ইয়াকিন (Harakah al-Yaqin - বিশ্বাস আন্দোলন)[৭][৮] হলো মায়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসের রিপোর্ট অনুসারে, দলটির নেতৃত্ব দেন আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি নামে পাকিস্তানের করাচীতে জন্ম নেয়া একজন রোহিঙ্গা, যিনি সৌদি আরবের মক্কায় বড় হয়েছেন।[১][২] এছাড়া সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের একটা কমিটিও এর নেতৃত্বে আছে।[৯]
সিত্তোয়ে বন্দী আরসা সন্দেহভাজনদের ওপর তদন্তকারী দলের প্রধান, পুলিশ ক্যাপ্টেন ইয়ান নাইং লাটের মতে, দলটির লক্ষ্য মায়ানমারে "রোহিঙ্গাদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক মুসলিম রাজ্য" প্রতিষ্ঠা। বিদেশী ইসলামী দলগুলোর সাথে আরসার সংযোগের কোনো শক্ত প্রমাণ না থাকলেও বর্মী সরকার সন্দেহ করছে যে দলটি বিদেশী ইসলামী আন্দোলনকারীদের সাথে যুক্ত এবং তাদের সাহায্যপুষ্ট।[১০] সরকার আরো অভিযোগ করেছে যে, আরসা সরকারি দালাল বা রাজাকার ধারণা করে প্রতিশোধমূলক হামলায় ৩৪ থেকে ৪৪ জন বেসামরিক লোককে খুন করেছে এবং আরো ২২ জনকে অপহরণ করেছে।[১১][১২] আরসা এসব দাবি ও অভিযোগ অস্বীকার করে, বলে যে "সন্ত্রাসী দল বা বিদেশী ইসলামিস্টদের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই" এবং তাদের "একমাত্র লক্ষ্যবস্তু অত্যাচারী বর্মী শাসন"।[৪]
২০১৭ সালের ২শে আগস্টে, মায়ানমারের এন্টি-টেররিজম সেন্ট্রাল কমিটি ঘোষণা করে যে তাদের কাউন্টার টেররিজম আইন অনুসারে আরসা একটি সন্ত্রাসী দল।[১৩][১৪] যাইহোক, ২৮ আগস্ট দলটি একটি বিবৃতিতে বলে যে তাদের বিরুদ্ধে কৃত সরকারি অভিযোগগুলো "ভিত্তিহীন" এবং তারা কেবল রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষায় আন্দোলন করছে।[১৫]
ইতিহাস
২০১৬ এর পূর্বে
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) এবং আরসার একজন মুখপাত্র অনুসারে, এই দলটি ২০১২ সালের রাখাইন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরে ২০১৩ সালে হারাকাহ আল-ইয়াকিন (বিশ্বাসের আন্দোলন বা Faith Movement) নামে গঠিত হয়।[১৬] আরসা এর একজন প্রাক্তন সদস্য বর্ণনা করেন যে কীভাবে তিনি এই দলের নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি দ্বারা অক্টোবর ২০১৬ হামলার ৩ বছর পূর্বে এই দলে অন্তর্ভুক্ত হন। আতাউল্লাহ গ্রামবাসীদের কাছে যান, পাঁচ থেকে দশজনকে তার দলে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন, আর বলেন তারা এখানে "রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনকে বন্ধ করতে এসেছেন"। অক্টোবর ২০১৬ হামলার পূর্বে আরসার সদস্যগণ গ্রামের লোকেরা মসজিদে নামাজ পড়ছে এটা নিশ্চিত করার জন্য নিছকই বাঁশের লাঠি বহন করে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরত।[১৭] স্থানীয় রোহিঙ্গা ও বর্মী নিরাপত্তা কর্মীদের মতে, এই দলটি পুনরায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে অক্টোবর ২০১৬ হামলার ছয় মাস আগ থেকে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদেরকে তাদের দলে অংশগ্রহণ করার জন্য দাওয়াত দিতে থাকে। এই সময় এদের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে এই সদস্যদেরকে মিয়ানমারে ভবিষ্যৎ হামলার জন্য প্রশিক্ষণ দেবার উদ্দেশ্য ছিল।[১০]
২০১৬
২০১৬ সালের অক্টোবরে হারাকাহ আল-ইয়াকিন নাম নিয়ে একটি বিদ্রোহী দল বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর বর্মী সীমান্তের পোস্টগুলোতে হামলার দায় স্বীকার করে। সেই হামলায় নয়জন সীমান্ত কর্মকর্তা এবং চারজন সৈনিক মারা গিয়েছিল।[১৮][১৯] ১৫ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখে তাতমাডো (মিয়ানমার সামরিক বাহিনী) ঘোষণা করে যে সাম্প্রতিক লড়াইগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মোট ৬৯ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।[২০] ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৬-তে, আইসিজি রিপোর্ট করে যে, আরসার নেতারা সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে সৌদি আরব ও পাকিস্তানে বসবাসরত কোনো কোনো ব্যক্তির সাথে তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। রিপোর্টে আরো বলা হয় যে, আফগান এবং পাকিস্তানি যোদ্ধারা রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের "গোপনে প্রশিক্ষণ" দিয়েছে, যদিও খবরটি নিশ্চিত নয়।[১][২১]
২০১৭
২০১৭-র ২২শে জুন বর্মী সরকারি গণমাধ্যম প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, সরকারের দুই-দিনব্যাপী এরিয়া ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের অংশ হিসেবে নিরাপত্তাবাহিনী এক বিদ্রোহী ক্যাম্পে (সম্ভবত আরসা) হানা দিলে তিন বিদ্রোহী নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ সেখানে বারুদ, স্কি মাস্ক এবং কাঠের রাইফেল জব্দ করেছে যা বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হতো বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।[২২][২৩]
২০১৭ সালের জুলাইয়ে বর্মী সরকার আরসাকে ৩৪ থেকে ৪৪ জন বেসামরিক জনগণ এবং আরও ২২ জনকে অপহরণ করার দায়ে অভিযুক্ত করে। এখানে দাবি করা হয় আরসা সরকারী সহযোগী ভেবে এদেরকে আক্রমণ করে এবং হত্যা ও অপহরণ করে। আরসা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।[২২][২৪]
২৫শে আগস্ট ২০১৭ তারিখে দলটি পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে এবং সেনাঘাঁটিতে সমন্বিত হামলার দায় স্বীকার করে। সরকারি ভাষ্যমতে, উত্তর মংডুতে এসব হামলায় ৭৭ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী এবং ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে হামলার পাশাপাশি মংডু জেলার এক পুলিশ স্টেশনে একটি হস্তনির্মিত বোমা দিয়ে হামলা করে। আরসা দাবি করে যে তারা ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে "আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ" নিয়েছে এবং সরকারি সৈন্যরা বেসামরিক লোকদের ধর্ষণ ও হত্যা করছে। দলটি আরো দাবি করে যে, সেনাবাহিনী রাথেডং শহর দুই সপ্তাহের বেশি অবরোধ করে রেখেছিল, রোহিঙ্গারা অনাহারে কাটাচ্ছিল; আর মংডুতেও সেনারা একই কাজ করতে চেয়ছিল।[২৫] ২৬ আগস্ট ২০১৭-তে আরসা ও তাতমাডো-র মধ্যকার যুদ্ধ বেড়ে গেলে চার হাজারেরও বেশি রাখাইন নৃগোষ্ঠীর লোক তাদের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।[২৬] একই দিনে সংঘটিত খা মং সিক গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরসাকে দায়ী করেছিল।[২৭]
২০১৭ সালের আগস্ট মাসের শেষের দিকে বর্মী সরকার আরসাকে ১২ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন। নিহতদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয়েই ছিল, তাদেরকে আরসা সরকারের জন্য তথ্যসরবরাহী হিসেবে সন্দেহ করে।[২৮][২৯][৩০] ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরসাকে পূর্বের মাসে ইয়ে বাও কিয়া গ্রামের ২৮ জন হিন্দুকে হত্যা করার জন্য অভিযুক্ত করে। সেদিন নিহতদের দেহকে একটি গণকবরে উদ্ধার করা হয়।[৩১] আরসা ২০১৭ সালের ২৮ আগস্টে একটি বিবৃতি দান করে, যেখানে সরকারের এইসব অভিযোগকে "ভিত্তিহীন" দাবি করা হয়, এবং বলা হয় যে আরসা কেবল রোহিঙ্গাদের ও তাদের অধিকারকে রক্ষা করে।[১৫] আরসার একজন মুখপাত্রও এই অভিযোগগুলোর বিরোধিতা করে এবং বএ যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হাত রয়েছে যারা রোহিঙ্গা হিন্দু ও মুসলিমদেরকে বিভক্ত করার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।[৩২] এই সময়ে বাংলাদেশ আরসার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সাথে যৌথ সামরিক অভিযান পরিচালনা করার প্রস্তাব দেয়।[৩৩]
২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন সাহায্যকারী বা ত্রাণ সংস্থাসমূহের লোকেদেরকে ও মানবাধিকার কর্মীদেরকে রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে নিরাপদে প্রবেশের জন্য আরসার পক্ষ থেকে এক মাসের একপাক্ষিক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়।[৩৪][৩৫][৩৬] একটি বিবৃতিতে তারা সরকারকে তাদের অস্ত্র সরিয়ে রেখে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হতে অনুরোধ করে। আরসা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে। ৯ অক্টোবর ছিল আরসার বর্মী নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর উপর আক্রমণের প্রথম বার্ষিকী। সরকার এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অফিসের মুখপাত্র জ তে বলেন, "জঙ্গিদের সাথে আমাদের আলোচনায় যাবার কোন নীতি নেই।"[৩৭][৩৮] ৭ অক্টোবরে আরসা জবাবে বলে, তারা মিয়ানমার সরকারের যেকোন শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের প্রস্তাবকে মেনে নেবে, ইন্তু সেই সাথে বলে যে, তাদের এক মাসের যুদ্ধবিরতির সময়কাল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।[৩৯] ৯ অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শেষ হবার পরও সরকার বলে নতুন কোন আক্রমণের চিহ্ন তারা পায় নি।[৪০]
২০১৭ সালের ৯ নভেম্বরে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এন্ড পপুলেশন ডিপার্টমেন্ট এর সচিব মাইয়ান্ত খাইন পূর্বের তিন মাসে মুসলিম প্রধান মংডু ও বুথিডং গ্রামে ১৮ জন গ্রাম নেতার মৃত্যুর জন্য আরসাকে দায়ী করে। নিহত গ্রাম নেতারা রোহিঙ্গা অধিবাসীদের জন্য ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেবার জন্য ইমিগ্রেশন এন্ড পপুলেশন ডিপার্টমেন্টকে সাহায্য করত।[৪১]
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের এক অভ্যর্থনায় বলেন, বাংলাদেশ আরাসার সাথে পাকিস্তানের ইন্টার-সারভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগগুলোর তদন্ত করছে।[৪২]
২০১৮
আরসা তুরাইং জেলায় ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারিতে সংঘটিত হাময়ার দায় স্বীকার করে,[৪৩][৪৪] যার ফলে মিয়ানমার নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীর ৬ জন সদস্য ও একজন বেসামরিক গাড়ি চালক আহত হয়।[৪৫][৪৬][৪৭]
২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে মিয়ানমারের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাগণ আরসাকে অভিযুক্ত করে বলে, মিয়ানমার হিন্দু উদ্বাস্তুদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ডাক দিলে আরসা তাদেরকে রাখাইন রাজ্যে ফিরে না যাবার জন্য সতর্ক করে।[৪৮]
মতাদর্শ
বিদেশী ইসলামিস্টদের সাথে আরসার সংযোগের কোনো প্রকার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। মায়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানকে শাস্ত্রসম্মত করার জন্য পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের আলেমদের থেকে আরসা ফতোয়া নিয়েছে।[৪৯] পাশাপাশি রিক্রুট বা নতুনদেরকে কুরআন শরীফের কসম করে রোহিঙ্গা মুক্তির প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার নিতে হয়। তবে দলটির নেতা আতাউল্লাহ বিদেশী ইসলামী আন্দোলনকারীদের সাথে সংযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।[৫০]
আরসা নিজেদেরকে বলে রোহিঙ্গা ইনসার্জেন্সি গ্রুপ (বিদ্রোহী দল) এবং আতা বলেছেন যে "আরসাতে আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো আমাদের জনগণকে অমানবিক অত্যাচার থেকে মুক্ত করা, যে অত্যাচার ধারাবাহিকভাবে সব বর্মী সরকারই চালাচ্ছে।"[৫১]
প্রেস স্টেটমেন্ট
১৭ই অক্টোবর ২০১৬ তারিখে দলটি (তৎকালীন নাম হারাকাহ আল ইয়াকিন) অনলাইনে একটি প্রেস বিবৃতি দেয়। মোটামুটি পাঁচ মিনিটের ভিডিওটিতে দলনেতা আতাউল্লাহ দুপাশে সশস্ত্র যোদ্ধাদের নিয়ে একটি কাগজ থেকে পড়ে শোনান:
“
|
Citizens of Arakan [State], citizens of Myanmar, and citizens of the world.
It is no longer a secret that the Rohingyas are the most persecuted ethnic minority on earth. Throughout the last six decades, we have been subjected to genocidal mass-killings, and all kinds of atrocities at the hands of successive tyrannical Burmese regimes.
Yet the world has chosen to ignore us! Then again, the "resourceful" world has apparently failed to save us!
We [Harakah al-Yaqin], the sons of Arakan[ese] soil, who are compelled by our dire situation to follow our own destiny through uprising, self-determination and self-defence, stand as an independent body which is free from all elements of terror in any nature, seek fundamental but legitimate rights and other [forms of] justice for all Arakanese, including our fellow innocent Rohingyas and other civilians dying from the continuous military assaults.
We categorically state that our people have chosen to free themselves from their oppressors, from the tragic deaths in the Bay of Bengal, in the Thai jungles and at the hands of human traffickers. We have also resolved to defend our mothers, sisters, elderly, children and ourselves.
We shall not rest until all our desired goals are achieved with the genuine help of the civilised world.
অনুবাদ:
আরাকান রাজ্যের অধিবাসীগণ, মায়ানমারের নাগরিকবৃন্দ এবং বিশ্ববাসী।
এটা আর গোপন নেই যে রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত জাতিগত সংখ্যালঘু। গত ছয় দশকে, একের পর এক অত্যাচারী বর্মী সরকারের হাতে আমরা গণহত্যা ও পাশবিক নৃশংসতার শিকার হয়েছি।
এরপরও পৃথিবী আমাদের ব্যাপারে উদাসীন! দেখা যাচ্ছে এই "রিসোর্সফুল" পৃথিবী আমাদের বাঁচাতে ব্যর্থ।
আমরা [হারাকাহ আল ইয়াকিন], আরাকানের মাটির সন্তানেরা, এখানকার ভয়ংকর পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়েছি জাগরণ, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আত্মরক্ষার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হতে, আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি একটি স্বাধীন সংঘ হিসেবে, সবরকম সন্ত্রাসের সাথে সম্পর্কবিহীন এবং সকল আরাকানির জন্য মৌলিক কিন্তু বৈধ অধিকার ও ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য, বিশেষত আমাদের নিরীহ রোহিঙ্গা এবং আর সব বেসামরিক লোকদের জন্য যারা প্রতিনিয়ত সামরিক হামলায় নিহত হচ্ছে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে, আমাদের জনগণ অত্যাচারীদের হাত থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে চায়, মুক্তি চায় বঙ্গোপসাগরে, থাইল্যান্ডের জঙ্গলে এবং মানব-পাচারকারীদের হাতে করুণ মৃত্যু থেকে। আমরা আরো সংকল্প করেছি আমাদের মা, বোন, বয়স্ক, শিশু এবং নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য [শত্রুদের] প্রতিরোধ করবো।
সভ্য জগতের খাঁটি সাহায্য পেয়ে আমাদের সব লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।
|
”
|
১০ থেকে ২৭শে অক্টোবরের মধ্যে দলটি আরো ছয়টি অনলাইন ভিডিও ছাড়ে।[৫২]
২০১৭ সালের ২৯শে মার্চে দলটি নতুন নাম দি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গ্রহণ করে প্রেস বিবৃতি দেয়। তাতে বর্মী সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবিদাওয়া লেখা ছিল।[৫৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ J, Jacob (১৫ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Rohingya militants in Rakhine have Saudi, Pakistan links, think tank says"। ২৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ Millar, Paul (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Sizing up the shadowy leader of the Rakhine State insurgency"। Southeast Asia Globe Magazine। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Kyaw Thu, Mratt; Slow, Oliver (২৮ আগস্ট ২০১৭)। "With ARSA attacks, northern Rakhine plunges into new, darker chapter"। Frontier Myanmar (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ Freeman, Joe। "Myanmar's Rohingya Insurgency Strikes Pragmatic Note"। VOA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Rohingya 'Army' stresses right to self-defence in first statement"। Frontier Myanmar (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Myanmar's armed Rohingya militants deny terrorist links"। Fox News। ২৮ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Myanmar: A New Muslim Insurgency in Rakhine State"। Crisis Group (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Lewis, Simon (১৪ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Myanmar's Rohingya insurgency has links to Saudi, Pakistan: report"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "An army crackdown sends thousands fleeing in Myanmar"। The Economist। ৩১ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ Lone, Wa; Lewis, Simon; Das, Krishna N. (৯ মার্চ ২০১৭)। "Myanmar Says Foreign Islamists Instigated Series of Attacks"। Reuters। ১০ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭।
- ↑ McDonald, Taylor (২২ জুন ২০১৭)। "Rohingya 'insurgent' camp raided - Asean Economist"। Asean Economist। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Myanmar sees insurgents behind Rohingya killings in northwest"। Reuters। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "The Republic of the Union of Myanmar Anti-terrorism Central Committee Statement"। National Reconciliation and Peace Centre। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Exclusive: Is this the final confrontation for the Rohingya?"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৭ আগস্ট ২০১৭। ২৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "Thousands of panic-stricken civilians flee fighting in Myanmar's northwest"। Reuters। Japan Times। ২৮ আগস্ট ২০১৭। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "An army crackdown sends thousands fleeing in Myanmar"। The Economist। ৩১ আগস্ট ২০১৭। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Head, Jonathan (১১ অক্টোবর ২০১৭)। "The truth about Rohingya militants"। BBC News। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Myanmar policemen killed in Rakhine border attack"। BBC News। ৯ অক্টোবর ২০১৬। ১১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Rakhine unrest leaves four Myanmar soldiers dead"। BBC News। ১২ অক্টোবর ২০১৬। ১২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Slodkowski, Antoni (১৫ নভেম্বর ২০১৬)। "Myanmar army says 86 killed in fighting in northwest"। Reuters India (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Rohingya insurgency a 'game-changer' for Myanmar"। Bangkok Post। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ McDonald, Taylor (২২ জুন ২০১৭)। "Rohingya 'insurgent' camp raided - Asean Economist"। Asean Economist। ২৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Myanmar forces kill 3 in raid on 'terrorist training camps': State media - Times of India"। The Times of India। ২২ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।
- ↑ Lewis, Simon (২০ জুলাই ২০১৭)। "Myanmar sees insurgents behind Rohingya killings in northwest"। Reuters। ২০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Deadly clashes erupt in Myanmar's restive Rakhine state"। www.aljazeera.com। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Over 4000 ethnic Rakhine have fled their villages as fighting between terrorists and Tatmadaw"। www.mmtimes.com। ২৯ আগস্ট ২০১৭। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Heidler, Scott (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Fear as Myanmar violence hits Bengali Hindus"। Al Jazeera। Al Jazeera Media Network। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Ongoing Myanmar clashes leave 96 dead, including 6 civilians"। ABC News। ২৭ আগস্ট ২০১৭। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Terrorist attacks escalate in Myanmar's northern state"। Xinhua News Agency। ২৭ আগস্ট ২০১৭। ২৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Death toll tops 100 in Myanmar's Rakhine as bloodshed continues"। Kyodo News। ২৮ আগস্ট ২০১৭। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Mass grave of 28 Hindus found in Myanmar: army"। Agence France-Presse। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Myanmar says bodies of 28 Hindu villagers found in Rakhine State"। Reuters। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Bangladesh offers Myanmar army aid against Rohingya rebels"। Agence-France Presse। Yahoo! News। ২৯ আগস্ট ২০১৭। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Judah, Jacob (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Myanmar: Rohingya insurgents declare month-long ceasefire"। The Guardian। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "ARSA fighters declare truce amid Rohingya crisis"। www.aljazeera.com। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Rohingya rebels in Myanmar declare truce"। BBC News। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Hundreds dead in Myanmar as the Rohingya crisis explodes again." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে September 10, 2017, Washington Post in Chicago Tribune retrieved September 12, 2017
- ↑ Smith, Karen; Marilia, Brocchetto। "Myanmar rejects Rohingya ceasefire offer"। CNN। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Rohingya insurgents open to peace but Myanmar ceasefire ending"। Reuters। ৭ অক্টোবর ২০১৭। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Myanmar takes first step to ease Buddhist-Muslim tension"। Reuters। ৭ অক্টোবর ২০১৭। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Militants Kill Village Leaders Who Worked on Myanmar's Verification Card Program"। Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Ghosal, Avijit (২১ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Dhaka probing ISI-Rohingiya terror link, says Bangladesh minister Obaidul Quader"। Hindustan Times। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Paddock, Richard C. (৭ জানুয়ারি ২০১৮)। "Rohingya Militants in Myanmar Claim Responsibility for Attack"। ৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
In a statement posted on Twitter, Atta Ullah, who identifies himself as commander of the rebel group, the Arakan Rohingya Salvation Army, said the attack on Friday morning in Maungdaw had been staged in response to efforts by Myanmar’s security forces to drive the Rohingya, a Muslim minority in a Buddhist-majority country, from the area.
- ↑ @ARSA_Official (৭ জানুয়ারি ২০১৮)। "PRESS STATEMENT [07/01/2018] -Turaing Ambush against the #Burmese Terrorist Army in #Maungdaw -We are here to salvage Indigenous #Rohingya ethnic community with our best capacities" (টুইট) – টুইটার-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Seven Wounded in Landmine Blast on Military Vehicle in Myanmar's Rakhine State"। Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Insurgents attack Myanmar soldiers in Rakhine state, wounding six"। The Japan Times। ৭ জানুয়ারি ২০১৮। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Insurgents attack Myanmar soldiers in Rakhine, wounding 6"। USA TODAY (ইংরেজি ভাষায়)। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Aung, Nyan Lynn (২০ নভেম্বর ২০১৮)। "Bangladesh excludes Hindu families from repatriation: official"। The Myanmar Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ hermes (২০১৭-০৯-১১)। "Pakistan-born leader of Arsa militants trained in modern guerilla warfare"। The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৩।
- ↑ "Birth of an ethnic insurgency in Myanmar" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৩।
- ↑ "Southeast Asia's Newest Rebel Group Calls Bangladesh 'Great Neighbor'"। Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৩।
- ↑ McPherson, Poppy (১৭ নভেম্বর ২০১৬)। "'It will blow up': fears Myanmar's deadly crackdown on Muslims will spiral out of control"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Statement of Arakan Rohingya Salvation Army"। www.rohingyablogger.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৭।
বহিঃসংযোগ