পুঁজিবাদের আধিপত্যে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ কিভাবে পরিবর্তিত হয়ে সমাজের সকল স্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তার উপাখ্যান এই গল্প।[২] মূলত আখ্যানধর্মী গল্প এটি।[৩]
পটভূমি
গল্পটি গল্পসংকলন গ্রন্থে প্রকাশের পূর্বে মারুফ রায়হান সম্পাদিত মাটি সাহিত্যকাগজে প্রকাশিত হয়েছিল।[৪][৫] এটি বন্ধনীমধ্যস্থ (Parenthesis) পদ্ধতিতে রচিত। আঠারো পাতার এই গল্প কোন দাঁড়ি বা পূর্ণ যতিচিহ্নের ব্যবহার ব্যতীত শুধুমাত্র একটি অসম্পূর্ণ বাক্যে মুদ্রিত। অর্থাৎ যার সমাপ্তিতে দাঁড়ি বা পূর্ণ যতিচিহ্নর বদলে কমা (,) ব্যবহার করা হয়েছে।[৫] গল্পটি প্রথমে জহিরের ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) সংকলনে প্রকাশিত হলেও উক্ত মূদ্রণে একটা কমা (,) দিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকাশক তা যথারীতি "দাঁড়ি" দিয়েই মুদ্রিত করেন। ফলে, পরবর্তীতে সমাপ্তিতে শুধুমাত্র এই "কমা" দেয়ার প্রয়োজনবোধ এটি পুনমুদ্রিত হয়।[৬][৭][৮]
কাহিনীসংক্ষেপ
গল্পের স্থানিক পটভূমি পুরান ঢাকা। যেখানকার একটি মহল্লার বহুদিনের কর্মকাণ্ডের প্রতীকী বয়ান
রয়েছে এতে। তরমুজ উৎপাদন থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গল্পের বয়ান তুলে ধরা হয়েছে। মূলত জাদুবাস্তবতার অন্তরালে স্থানিক এবং জনজীবনের বর্ণনায় একটি অঞ্চলের অবস্থা নির্দেশিত হয়েছে এই গল্পে। গল্পে তরমুজের অবস্থা ও গুণগত মানের ক্রমাগত পরিবর্তনের পাশাপাশি মহল্লার ও সেখানকার মানুষের পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।[২]
সমালোচনা
বহুমাত্রিক সরবতা নিয়ে গল্পটি বাংলা কথাসাহিত্যে অস্তিত্ব জানান দেয় বলে মন্তব্য করেছেন, লেখক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর। সমালোচকের মতে গল্পে বাস্তবতার ভিতর অধিবাস্তবতা রয়েছে।[৯]
অনুবাদ
পরবর্তীতে জহির গল্পটিকে "History of Our Cottage Industry" নামে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন,[১০] যেটি শহীদুল জহির গল্পসমগ্র (২০১৯) বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।[১১]
↑মৃধা, প্রশান্ত (১১ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "ডলু নদীর হাওয়ায় মুখের দিকে দেখি"। সংবাদ প্রকাশ। ৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২৩।
↑রশিদ, মোহাম্মদ আবদুর, সম্পাদক (জানুয়ারি ২০১৯)। শহীদুল জহির গল্পসমগ্র। ঢাকা: পাঠক সমাবেশ। পৃষ্ঠা ৩৯০। আইএসবিএন9789849408130। ২ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২১।