আব্দুল গণী ফুলপুরী (১৮৭৬ – ১২ আগস্ট ১৯৬৩) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য ছিলেন। তার শিষ্যদের মধ্যে হাকিম মুহাম্মদ আখতার অন্যতম।
জীবনী
আব্দুল গণী ফুলপুরী ১৮৭৬ সালে ভারতেরআজমগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজমগড় জেলার ছাঁউ গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময় ফুলপুরে অতিবাহিত হওয়ায় তাকে ফুলপুরী নামে ডাকা হয়। গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে তিনি ২ বছর আবুল খাইর মক্কী ও আমিনুদ্দিন নাসিরাবাদির নিকট ধর্মীয় শিক্ষালাভ করে কানপুরের জামিউল উলুমে ভর্তি হন। তিনি জামিউল উলুম থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং রামপুর বড় মাদ্রাসায় মজিদ আলী জৌনপুরির কাছে যুক্তিবিদ্যায় বিশেষায়িত হন।[১]
শিক্ষাজীবন শেষে সীতাপুরের মাদ্রাসা আরাবিয়ায় শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর জৌনপুরে পাঁচ বছর সদরুল মুদাররিসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২০ সালে তিনি আশরাফ আলী থানভীর কাছে বায়আত হন। ১৯২৫ সালে তিনি ফুলপুরে রওযাতুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩০ সালে মাদ্রাসায়ে বায়তুল উলুম নামে আরও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তার ছাত্রদের মধ্যে আব্দুল হক আজমি অন্যতম। সুফিবাদে তার শিষ্য ছিলেন হাকিম মুহাম্মদ আখতার। তিনিই ফুলপুরীর বক্তব্য ও উপাখ্যান সংগ্রহ করেছেন।[১]
১৯৬০ সালে তিনি পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৬৩ সালের ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে করাচির পাপোশনগরে দাফন করা হয়।[২]
↑ কখপারভেজ, মুহাম্মদ (২০০৮)। A Study of the Socio-Religious Reforms of Maulana Ashraf Ali Thanvi [মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর সামাজিক-ধর্মীয় সংস্কারের একটি অধ্যয়ন] (গবেষণাপত্র)। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৫৯–১৬১।