আপিল বিভাগ হল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টের আপিল আদালত। আপিল বিভাগ হলো প্রথম স্তরের আপিল আদালত, যা হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত বিচারিক রায় পর্যালোচনা করার কর্তৃত্ব রাখে।[১]
আপিল বিভাগ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ০৮ জন বিচারক নিয়ে গঠিত। বর্তমান প্রধান বিচারপতি হলেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
ইতিহাস
আপিল বিভাগ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং ন্যায়বিচারের জন্য সর্বশেষ আবেদনের আদালত। এটি পূর্বে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ছিল, যা ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় গঠিত হয়েছিল।
এখতিয়ার
আপিল এখতিয়ার
সংবিধান অনুযায়ী:[২]
- হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানীর ও তাহা নিষ্পত্তির এখতিয়ার আপিল বিভাগের থাকিবে।
- হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের নিকট সেই ক্ষেত্রে অধিকারবলে আপিল করা যাইবে, [...]
- হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে যে মামলায় এই অনুচ্ছেদের (২) দফা প্রযোজ্য নহে, কেবল আপিল বিভাগ আপিলের অনুমতিদান করিলে সেই মামলায় আপিল চলিবে।
- সংসদ আইনের দ্বারা ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, এই অনুচ্ছেদের বিধানসমূহ হাইকোর্ট বিভাগের প্রসঙ্গে যেরূপ প্রযোজ্য, অন্য কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রেও তাহা সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে।
পরোয়ানা জারি ও নির্বাহ
সংবিধান অনুযায়ী:[৩]
- কোন ব্যক্তির হাজিরা কিংবা কোন দলিলপত্র উদ্ঘাটন বা দাখিল করিবার আদেশসহ আপিল বিভাগের নিকট বিচারাধীন যে কোন মামলা বা বিষয়ে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের জন্য যেরূপ প্রয়োজনীয় হইতে পারে, উক্ত বিভাগ সেইরূপ নির্দেশ, আদেশ, ডিক্রী বা রীট জারি করিতে পারিবেন।
রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
সংবিধান অনুযায়ী:[৪]
- সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রণীত যে কোন বিধি-সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকিবে।
উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার
সংবিধান অনুযায়ী:[৫]
- যদি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জন-গুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানীর পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।
বিধি-প্রণয়ন-ক্ষমতা
সংবিধান অনুযায়ী:[৬]
- সংসদ কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইন-সাপেক্ষে সুপ্রীম কোর্ট রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লইয়া প্রত্যেক বিভাগের এবং অধস্তন যে কোন আদালতের রীতি ও পদ্ধতি-নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
- সুপ্রীম কোর্ট এই অনুচ্ছেদের (১) দফা এবং এই সংবিধানের ১১৩ ও ১১৬ অনুচ্ছেদের অধীন দায়িত্বসমূহের ভার উক্ত আদালতের কোন একটি বিভাগকে কিংবা এক বা একাধিক বিচারককে অর্পণ করিতে পারিবেন।
- এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বিধিসমূহ-সাপেক্ষে কোন্ কোন্ বিচারককে লইয়া কোন্ বিভাগের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে এবং কোন্ কোন্ বিচারক কোন্ উদ্দেশ্যে আসন গ্রহণ করিবেন, তাহা প্রধান বিচারপতি নির্ধারণ করিবেন।
- প্রধান বিচারপতি সুপ্রীম কোর্টের যে কোন বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারককে সেই বিভাগে এই অনুচ্ছেদের (৩) দফা কিংবা এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বিধিসমূহ-দ্বারা অর্পিত যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের ভার প্রদান করিতে পারিবেন।
বিচারক
ক্রমিক নম্বর
|
নাম [৭]
|
অবসর গ্রহণের তারিখ
|
জন্ম তারিখ
|
আপিল বিভাগে নিয়োগের তারিখ
|
হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের তারিখ
|
হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের তারিখ
|
হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগকালীন রাষ্ট্রপতি
|
হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগকালীন প্রধানমন্ত্রী
|
হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগকালীন আইনমন্ত্রী
|
বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের পূর্বের বিচারবিভাগীয় পদ
|
আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
|
০১
|
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
০২
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
০৩
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
০৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
০৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
০৬
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তথ্যসূত্র
|
---|
|
উর্দ্ধতন বিচার বিভাগ | | |
---|
অধস্তন বিচার বিভাগ |
- জজ আদালত
- শ্রম আদালত
- অর্থঋণ আদালত
- পরিবেশ আদালত
|
---|
বিশেষ ক্ষেত্রে বিচার ট্রাইব্যুনাল | |
---|
নির্বাহী আদালত | |
---|
স্থানীয় সালিশি আদালত | |
---|