আনিসা সাঈদ
১৯তম কমনওয়েলথ গেমস-২০১০, দিল্লিতে ২৫মি পিস্তল মহিলা (জুটি) ইভেন্টে স্বর্ণপদক নিয়ে আনিসা সাঈদ |
|
জন্ম | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ (1980-09-22) (বয়স ৪৪) ওয়াই, মহারাষ্ট্র, ভারত[১] |
---|
উচ্চতা | ১৫৭ সেমি[১] |
---|
ওজন | ৯০ কেজি[১] |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | মোবারক খান[১] |
---|
|
ক্রীড়া | শুটিং |
---|
বিভাগ | ২৫ মিটার পিস্তল |
---|
|
আনিসা সাঈদ (জন্ম ২২শে সেপ্টেম্বর ১৯৮০) হলেন একজন ভারতীয় মহিলা পিস্তল লক্ষ্যভেদী (শুটার), যিনি ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[২] তিনি ২০০৬ সালে স্যাফ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে, তিনি ২৫ মিটার ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছিলেন।[৩] এছাড়াও, তিনি ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ এবং একই বছরে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জিতেছিলেন।[৪] তিনি ২০১৭ সালে জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় মহিলাদের ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলে স্বর্ণপদক জিতে একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন।[৫][৬]
প্রাথমিক জীবন
আনিসা হলেন আব্দুল হামিদ সাঈদের মেয়ে, তাঁরা মূলত পুনের সাতারা জেলার খাদকির বাসিন্দা। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।[৭] তাঁর বাবা একজন প্রাক্তন ক্লাব-স্তরের ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি টেলকোতে কেরানি হিসেবে কাজ করতেন।[৮] কলেজে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (এনসিসি) প্রশিক্ষণের সময় আনিসার মধ্যে শুটিংয়ে আগ্রহ তৈরি হয়।[৭] তিনি নিজের স্কুল জীবনে সেরা এনসিসি শুটারের খেতাব পেয়েছিলেন।[৯]
কর্মজীবন
আনিসা লেডি হাওয়াভাই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন।[৮] পরে তিনি মহারাষ্ট্রের ভিলে পার্লে রেলওয়ে স্টেশনে ব্যস্ত মুম্বাই-পুনে রেলওয়ে রুটে টিকিট-সংগ্রাহক হিসেবে ভারতীয় রেলওয়ের জন্য কাজ শুরু করেন।[১০] বারবার তাঁর নিজ শহরে (পুনে) স্থানান্তর প্রত্যাখ্যান করার পরে তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।[১০]
আনিশার লক্ষ্যভেদী জীবন শুরু হয় ২০০২ সালে গণি শেখ এবং পি ভি ইনামদারের নির্দেশনায়।[১১] তিনি রাহি সরনোবাতের সাথে জুটি বেঁধে ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে নিজের প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[১২] এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালের ২৬শে জুন তারিখে গ্লাসগোর কাছে ব্যারি বুডন শ্যুটিং সেন্টারে কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[১৩] ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের আগে জাতীয় কোচ সানি থমাস তাঁকে কিছু বিশেষ কৌশল শিখিয়েছিলেন।[৯]
কমনওয়েলথ গেমসে ৭৭৬.৫ স্কোর নিয়ে আনিসা ব্যক্তিগত স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে স্যাফ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[১৪] ২০১৪ সালে, তিনি গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসে ২৫-মিটার পিস্তল শুটিংয়ের জন্য রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। আনিসা অ্যাংলিয়ান মেডেল হান্ট কোম্পানি দ্বারা সমর্থিত।[১৫] তিনি ২০১৭ সালে ২৫ মিটার পিস্তল শ্যুটিং বিভাগে জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড তৈরি করেন।[৫]
বিতর্ক
ভারত এবং বিদেশে বিভিন্ন শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হওয়ার পর তাঁকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি কোনো চাকরি পাননি। রাজ্য সরকার এর পরিবর্তে তাঁকে তাঁর খেলাধুলাতেই ফিরে যেতে বলেছে।[১৬]
২০১৭ সালের নভেম্বরে, তিনি, নিজের কর্মস্থল, রাজ্যের ক্রীড়া বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে গত দুই বছর ধরে তাঁর বেতন দেওয়া হয়নি এবং পরবর্তী গেমগুলির জন্য তাঁর ছুটিও কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হয়নি।[৪] হরিয়ানার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক পরিচালককে সম্বোধন করে, তিনি রাজ্যের সাথে তাঁর মতানৈক্য প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তাঁকে নিজের চাকরির পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।[১৭]
ব্যক্তিগত জীবন
আনিসা মোবারক খানকে বিবাহ করেছেন, এবং তাঁদের একটি কন্যা ২০১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছে। এই দম্পতি বর্তমানে হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলায় থাকেন।[১০]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ