জামায়াতু আনসার আল-শরিয়া বা আনসার আল-শরিয়া হল ইয়েমেন ভিত্তিক একটি জিহাদি সংগঠন, যাতে আল কায়েদার আরব উপদ্বীপ শাখার বেশ কয়েকটি ইউনিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[১] আল কায়েদা ২০১১ সালে আনসার আল-শরিয়াকে ইয়েমেন-ভিত্তিক একটি সহযোগী সংগঠন হিসাবে তৈরি করে এবং এটি পশ্চিমা বিশ্বের উপর আন্তর্জাতিক আক্রমণের পরিবর্তে ইয়েমেনে একটি বিদ্রোহ চালানোর দিকে মনোনিবেশ করে।[২] গোষ্ঠিটি ইয়েমেনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখানে শরিয়া আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেছে বলে দাবি করে।
২০১১ সালে জিঞ্জিবার যুদ্ধের পর দলটি দক্ষিণ ইয়েমেনের কিছু শহর নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে একটি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে। আনসার আল-শরিয়া ২০১২ সালে সানা বোমা হামলা ও ২০১৩ সালে সানা হামলার দায় স্বীকার করে।[৩] ২০১৭ সালের প্রথম দিকে আনসার আল শরিয়া আল বায়দা, শেবওয়া, মারিব, জাওফ ও তাইজ প্রদেশে হুথি ও সালেহ বাহিনীর সাথে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই শুরু করে।[২]
২০১২ সালের ৪ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তার বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা সংশোধন করে ইয়েমেনের আনসার আল-শরিয়াকে আলাদা সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরিবর্তে আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার উপনাম হিসেবে চিহ্নিত করে। একই দিনে জাতিসংঘের আল-কায়েদা বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা কমিটিও গোষ্ঠীটিকে তালিকাভুক্ত করে।[৪] নিউজিল্যান্ডও এটিকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।[৫][৬] ২০১৫ সালের শুরুর দিকে কিছু সদস্য গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা যায়।[৭] ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গ্রুপের নেতা কাসিম আল রায়মি মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।[৮]
তথ্যসূত্র