আছমত আলী খান (এ.কে) ইনস্টিটিউশনবাংলাদেশেরবরিশাল শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] এখানে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করা হয়ে থাকে।
ইতিহাস
১৯১৩ সালে খান বাহদুর হেমায়েত উদ্দিন আহমদ অত্র অঞ্চলে মুসলিম ছাত্রদের শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি শহরের তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী মুহম্মদ ইসমাইল খান, এর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন ও বেল ইসলামিয়া হোস্টেল এর পাশে তার দানকৃত জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে ইসমাইল চৌধুরীর পিতা আছমত আলী খানের নামানুসারে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ১৯২৯ সালে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থায়ীভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। সে সময় বিদ্যালয়টি বাকেরগঞ্জ (বরিশাল), পটুয়াখালী ও ফরিদপুর অঞ্চলের মুসলিম ছাত্রদের শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার জন্য ১৯৩০ সালে স্থানীয় কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরে একটি মাঠ তৈরি করা হয়। এ কে ইনস্টিটিউশনের এই খেলার মাঠটি বর্তমানে হেমায়েতউদ্দীন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ নামে পরিচিতি লাভ করে।[২]
অবস্থান ও অবকাঠামো
আছমত আলী খান (এ.কে) ইনস্টিটিউশন বরিশাল শহরের গির্জা মহল্লা এলাকায় কেবি হেমায়েত উদ্দিন আহমদ রোডে অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ের আয়তন প্রায় ১ একর। এখানে বর্তমানে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুইটি দোতলা ও একটি একতলা পাকা ভবন রয়েছে। ছাত্রদের জন্য আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, গ্রন্থাগার, বিতর্ক ক্লাব ও বিস্তৃত খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম
মাধ্যমিক
এটি একটি বালক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেনীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। মাধ্যমিক শ্রেনীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।