আইকে পেগাসি (ইংরেজি ভাষায়: IK Pegasi) পরীক্ষা মণ্ডলের (পক্ষীরাজ) একটি যুগল তারা ব্যবস্থা। এর অন্য নাম এইচআর ৮২১০। সৌর জগৎ থেকে ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই তারা ব্যবস্থা পৃথিবীর আকাশে খালি চোখেই দেখা যায়।
এই তারা ব্যবস্থার প্রাথমিক তারাটি (আইকে পেগাসি এ) এ-শ্রেণীর প্রধান ধারার তারা। উজ্জ্বলতায় সামান্য স্পন্দন লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে একে বিষম তারার সাথে শ্রেণীকরণ করা যায়। একে ডেল্টা স্কুটি বিষম তারা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঔজ্জ্বল পরিবর্তন পর্যায়ক্রমিকভাবে ঘটে, প্রতি দিন ২২.৯ বার একই ঔজ্জ্বল্য ফিরে ফিরে আসে। [১] সঙ্গী তারাটির নাম আইকে পেগাসি বি, এটা অতীবৃহৎ শ্বেত বামন তারা। অর্থাৎ এটা প্রধান তারা পেরিয়ে গেছে এবং বর্তমানে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে কোন শক্তি উৎপাদন করছে না। এই তারা দুটি একে অন্যের চারদিকে প্রতি ২১.৭ দিনে একবার আবর্তন করে। এদের মধ্যে গড় দূরত্ব থাকে প্রায় ৩১ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ১৯ মিলিয়ন মাইল (.২১ জ্যোতির্বিজ্ঞান একক)। এটা সূর্য থেকে বুধ গ্রহের দূরত্বের চেয়েও কম।
আইকে পেগাসি বি আমাদের জানামতে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী "অতিনবতারা পূর্বপুরুষ" প্রার্থী। প্রাথমিক তারাটি যখন লোহিত দানব হয়ে প্রসারিক হতে শুরু করবে, ধারণা করা হচ্ছে তখন শ্বেত বামন তা থেকে বিবৃদ্ধির মাধ্যমে পদার্থ নিয়ে নেবে। প্রসরমান গ্যাসীয় তারাটি থেকে এই বিবৃদ্ধি ঘটবে। এভাবে শ্বেত বামনের ভর বাড়তে থাকবে, চন্দ্রশেখর সীমা তথা সূর্যের ভরের ১.৪৪ গুণ অতিক্রম করা মাত্র বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রথম ধরনের অতিনবতারা গঠিত হবে। [২]
তথ্যসূত্র
↑Wonnacott, D.; Kellett, B. J.; Smalley, B.; Lloyd, C. (১৯৯৪), "Pulsational Activity on Ik-Pegasi", Monthly Notices of the Royal Astronomical Society, 267 (4): 1045–1052, ডিওআই:10.1093/mnras/267.4.1045, বিবকোড:1994MNRAS.267.1045Wউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑Wonnacott, D.; Kellett, B. J.; Stickland, D. J. (১৯৯৩), "IK Peg - A nearby, short-period, Sirius-like system", Monthly Notices of the Royal Astronomical Society, 262 (2): 277–284, ডিওআই:10.1093/mnras/262.2.277, বিবকোড:1993MNRAS.262..277Wউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Tzekova, Svetlana Yordanova (২০০৪)। "IK Pegasi (HR 8210)"। ESO (European Organisation for Astronomical Research in the Southern Hemisphere)। ২০১২-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!