আইএনএস রঞ্জিতভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত পাঁচটি রাজপুত শ্রেণিরডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে তৃতীয়টি। রঞ্জিতকে ১৯৮৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কমিশন বা পরিষেবাতে নিযুক্ত করা হয় এবং ৬ মে ২০১৯ সাল এটি বাতিল হওয়া পর্যন্ত পরিষেবাতে নিজুক্ত থাকে।[১]
নির্মাণ ও পরিষেবা
ভারতের অনুরোধে সোভিয়েত নাম লভকি হিসাবে ১৯৭৭ সালের ২৯ শে জুন ইউক্রেনের নিকোলায়য়েভের কোমুনারা জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে ২২০৩ নং ক্রম সংখ্যা অনুযায়ী রঞ্জিত-এর জাহাজ তলি স্থাপন করা হয়। তার আগে ওই বছরের জাহাজটিকে ১৬ ই মে পোরাজায়ুচ্ছির নামকরণের পরিকল্পনা করা হয় এবং এটি প্রকল্প ৬১এমজেড-এর অধীনে বৃহৎ ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী জাহাজ হিসাবে নির্মিত হয় (ন্যাটো'র বিজ্ঞপ্তিতে নাম কাশিন-শ্রেণি ডেস্ট্রয়ার)। ডেস্ট্রয়ারটি ১৬ জুন ১৯৭৯৮ সালে চালু হয় এবং ৩০ অক্টোবর ১৯৮১ সালে সোভিয়েত নৌবাহিনীর জাহাজের বহরে যুক্ত হয়।[২]
১৯৮৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, জাহাজটি তৎকালীন ক্যাপ্টেন বিষ্ণু ভাগবতের নেতৃত্বে ইউএসএসআর-তে কমিশন লাভ করে। এটি পোস্ট কমিশনার ট্রায়াল সম্পন্ন করে এবং ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর ইউএসএসআর পতি থেকে যাত্রা করে এবং ১৯৮৩ সালের ২২ ডিসেম্বর মুম্বইতে প্রবেশ করে। জাহাজটি ভারতে প্রথম ভ্রমণকালে বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়া এবং মিশরের বন্দরগুলি পরিদর্শন করে। পশ্চিম নৌবহরে যোগদান করে এবং এফসিডাব্লুএফ-এর পতাকার অধীনে ১৯৯৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালিত হয়। ১৯৯৯ সালের মে মাসে জাহাজটি নিজের মাতৃবন্দর হিসাবে বিশাখাপত্তনমে প্রবেশ করে এবং পূর্ব নৌবহরের অংশে পরিণত হন।[৩]
৬ মে ২০১৯ সালে, ৩৬ বছর পরিষেবা শেষে আইএনএস রঞ্জিতকে বিশাখাপত্তনমের নৌ ডকইয়ার্ডে বরখাস্ত করা হয়।[৪] জাহাজটির শেষ কমান্ডিং অফিসার ছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম সি মেহরা।[১]