অ্যান্ডি লয়েড
|
পূর্ণ নাম | টিমোথি অ্যান্ড্রু লয়েড |
---|
জন্ম | (1956-11-05) ৫ নভেম্বর ১৯৫৬ (বয়স ৬৮) অসওয়েস্ট্রি, শ্রপশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৫০৫) | ১৪ জুন ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
---|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৪) | ৩১ মে ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
---|
শেষ ওডিআই | ৪ জুন ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
টিমোথি অ্যান্ড্রু লয়েড (ইংরেজি: Andy Lloyd; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৯৫৬) শ্রপশায়ারের অসওয়েস্ট্রি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন অ্যান্ডি লয়েড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ক্যাডক্সটনের ল্যাঙ্গাটগ কম্প্রিহেনসিভ স্কুলে অধ্যয়ন শেষে ব্যাঙ্গর নর্মাল কলেজে পড়াশুনো করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অ্যান্ডি লয়েডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মাথায় আঘাতের কারণে ১৯৮৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি আর কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত একাধারে ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক ও ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[১] পরবর্তীতে, ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে ১৫ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ১৯৮৯ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শিরোপা বিজয়ে ওয়ারউইকশায়ারকে নেতৃত্ব দেন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় সাসেক্সকে তার দল পরাভূত করেছিল।
সবমিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৯টি শতরান সহযোগে ১৭,২১১ রান তুলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২৩ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ডেভিড লয়েড কিংবা ক্লাইভ লয়েডের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যান্ডি লয়েড। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো আন্তর্জাতিক খেলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৪ জুন, ১৯৮৪ তারিখে বার্মিংহামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, টেস্ট অভিষেকের পূর্বেই ৩১ মে, ১৯৮৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৪ জুন, ১৯৮৪ তারিখে লর্ডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
২৭ বছর বয়সে এজবাস্টনের নিজ শহরে সিরিজে প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। টেস্টের পূর্বেকার তিনটি ওডিআইয়ে দুইটিতে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। একমাত্র টেস্টটি সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ৩৩ মিনিট ব্যাটিং করে দশ রান সংগ্রহের পর বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার ম্যালকম মার্শালের বল মাথায় আঘাত পান।[২] হেলমেট পরিধান করা সত্ত্বেও বেশ কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। এরপর, ১৯৮৪ সালের বাদ-বাকী দিনগুলোয় কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেননি।[১]
পরবর্তীতে তাকে আর ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। ফলশ্রুতিতে, একমাত্র উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট না হবার কৃতিত্বের অধিকারী হন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ