অরুন্ধতী ঘোষ |
---|
ভিয়েনায় সিটিবিটি কূটনীতি এবং গণনীতি বিষয়ে বক্তৃতারত অরুন্ধতী ঘোষ,জুলাই, ২০১৩ |
|
|
|
কাজের মেয়াদ ১৯৯৫ – ১৯৯৭ |
|
কাজের মেয়াদ ১৯৯২ – ১৯৯৫ |
|
|
জন্ম | (১৯৩৯-১১-২৫)২৫ নভেম্বর ১৯৩৯ |
---|
মৃত্যু | ২৫ জুলাই ২০১৬(2016-07-25) (বয়স ৭৬) |
---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
---|
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ |
---|
পেশা | কূটনীতিবিদ |
---|
অরুন্ধতী ঘোষ (জন্ম: ২৫ নভেম্বর, ১৯৩৯; মৃত্যু: ২৫ জুলাই, ২০১৬) একজন ভারতীয় কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘ কার্যালয়ে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন এবং ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে জেনেভা শহরে যে নিরস্ত্রীকরণের ওপর সম্মেলন হয়েছিল সেখানে কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার-টেস্ট-ব্যান ট্রিটি (সিটিবিটি) আলোচনায় অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ভারতীয় প্রতিনিধিদের তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।[১] তিনি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং মিশরের আরব প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রথম জীবন
অরুন্ধতী ঘোষ মুম্বইতে বড়ো হয়েছেন এবং ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন কন্নন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি কলকাতার লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তীর্ণ হন এবং শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা সমাপন করেন।
এক বিখ্যাত বাঙালি পরিবারের মেয়ে ছিলেন অরুন্ধতী। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পাল এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সভাপতি ভাস্কর ঘোষের এক বোন ছিলেন তিনি।[২] সাগরিকা ঘোষ ছিলেন তার ভাইঝি এবং তার ভাইপো সঞ্জয় ঘোষ ছিলেন একজন সমাজকর্মী, যিনি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে অসমে উলফা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হয়েছিলেন।[৩]
কর্মজীবন
অরুন্ধতী ঘোষের কর্মজীবনের সময়কালে তিনি অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ এবং নিউ ইয়র্কে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। এমনকি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় বাংলাদেশ সরকার নির্বাসনে থাকাকালীন সময়ে তিনিই ভারতের তরফে মৈত্রীর প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন।[৪]
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জেনেভায় অনুষ্ঠিত সিটিবিটি সম্মেলনে অরুন্ধতী ঘোষ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান নিয়োজিত হয়েছিলেন। যে তিনটে মাত্র দেশ নিউক্লিয়র প্রযুক্তিতে উন্নত ছিল, তার মধ্যে এক প্রধান অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে ভারত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিল এবং যদিও তখনো পরমাণু অ-বিস্তার চুক্তি (এনপিটি)-এর চৌহদ্দির বাইরে থাকা নিউক্লিয়র শক্তিধর হিসেবে অস্বীকৃত ছিল। বহুবিবৃত দীর্ঘস্থায়ী গৃহীত নীতি নিয়ে ভারত কয়েকটা দেশের পরমাণু অস্ত্র বাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাকে অস্বীকর করে, যেখানে সঙ্গতি থকা সত্ত্বেও অন্য কিছু দেশ সেগুলো সীমিত রাখার পক্ষে ছিল। অরুন্ধতী ঘোষ পশ্চিমী দেশের ভারতকে সিটিবিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর ব্যাপারে চাপ দেওয়াকে প্রতিরোধ করেছিলেন, এই উত্তেজনাপূর্ণ পদ্ধতিতে ভারতকে তার কীর্তিমান অবস্থানে অবিচল রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন।[৫]
যতদূর জানা যায়, তিনি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অবসর-পরবর্তী কাজকর্ম
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি নানা ধরনের কাজে সক্রিয়ভাবে নিজেকে নিযুক্ত রেখেছিলেন।[৬] ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের অ্যাডভাইসরি বোর্ড অন ডিসআর্মামেন্ট ম্যাটার্সের সদস্য ছিলেন[৭] ২০০৪ থেকে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কমিটি ফর ইকনমিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটসের ভারত থেকে তিনি সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি ইন্সটিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস সংস্থার কার্যকরী পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অ-বিস্তার এবং নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য ছিলেন।
পুরস্কার ও সম্মান
- ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার প্রদান।[৮]
উল্লেখসমূহ