অঞ্জলি ভরদ্বাজ (জন্ম ১৯৭৭) হলেন 'স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ব' বিভাগ নিয়ে কাজ করা একজন ভারতীয় সমাজকর্মী। তিনি তথ্যপ্রাপ্তিতে জনগণের অধিকার নিয়ে জাতীয় প্রচারণা (এনসিপিআরআই) এর সহ-আহ্বায়ক[১] এবং সতর্ক নাগরিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[২] তিনি তথ্য অধিকার, লোকপাল, তথ্য ফাঁসকারীদের সুরক্ষা, অভিযোগের প্রতিকার এবং খাদ্য অধিকার সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ভরদ্বাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। [৩]
কার্যক্রম
অঞ্জলি ভরদ্বাজ ১৯৯৯ সাল থেকে ভারতে তথ্য অধিকার আন্দোলনে জড়িত রয়েছেন। তিনি জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার প্রশ্নে বেশ সোচ্চার ছিলেন।[৪] তিনি তথ্যপ্রাপ্তিতে জনগণের অধিকার নিয়ে জাতীয় প্রচারণা-র (এনসিপিআরআই) সহ-আহ্বায়ক। তাঁর প্রচেষ্টার সাথে সম্পর্কিত যেসব আইন বাস্তবায়িত বা প্রণীত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫, হুইসেল ব্লোয়ার্স প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০১১,[৫] লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন ২০১৩,[৬] এবং অভিযোগ নিরসন বিল।[৭]
অঞ্জলি সাতারক নাগরিক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০০৩ সালে স্থাপিত এই সংস্থাটি, তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ভারত সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। বিধায়কদের কর্মক্ষমতা নিয়ে এসএনএস কর্তৃক প্রস্তুত করা রিপোর্ট কার্ড গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়ে থাকে।
তিনি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আরটিআই অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড এডভোকেসি গ্রুপের সাথে কাজ করেন।
তথ্যসূত্র
↑"NCPRI » Structure"। righttoinformation.info। ১২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-১১।