হালভেতি তেকে, বেরাত

হালবেতি তেকে মসজিদ (আলবেনিয়ান: Teqeja e Helvetive) আলবেনিয়ার বেরাত শহরের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি একটি তেকে (তুর্কি ভাষায় সেমেভি), যা সুফিবাদের একটি শাখা, খলওয়াতি তরিকার অন্তর্গত। মসজিদটি ১৭৮২ সালে আহমেদ কুর্ট পাশা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।

বর্ণনা

মসজিদটি একটি ছোট, বর্গাকার ভবন যা একটি উঁচু মিনার দ্বারা বেষ্টিত। ভিতরের অংশটি একটি ছোট প্রার্থনা কক্ষ নিয়ে গঠিত যা একটি আয়তাকার নকশায় তৈরি। প্রার্থনা কক্ষের দেয়ালে কুরআনের আয়াত এবং সুফিদের কবিতা খোদাই করা আছে।

মসজিদটি বেরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি শহরের পুরনো অংশে অবস্থিত, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে মনোনীত।

ইতিহাস

হালবেতি তেকে মসজিদটি ১৭৮২ সালে আহমেদ কুর্ট পাশা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। আহমেদ কুর্ট পাশা একজন উসমানীয় শাসক ছিলেন যিনি বেরাতের শাসক ছিলেন ১৭৬৮ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত। তিনি একজন সুফি ছিলেন এবং হালবেতি তরিকার একজন অনুসারী ছিলেন।

মসজিদটি নির্মাণের জন্য, আহমেদ কুর্ট পাশা স্থানীয় শিল্পীদের নিয়োগ করেছিলেন। মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল নির্মাণ সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়েছিল।

স্থাপত্য

হালবেতি তেকে মসজিদটি একটি ছোট, বর্গাকার ভবন যা একটি উঁচু মিনার দ্বারা বেষ্টিত। ভিতরের অংশটি একটি ছোট প্রার্থনা কক্ষ নিয়ে গঠিত যা একটি আয়তাকার নকশায় তৈরি। প্রার্থনা কক্ষের দেয়ালে কুরআনের আয়াত এবং সুফিদের কবিতা খোদাই করা আছে।

মসজিদের বাইরের দেয়ালে একটি ফ্রেসকো রয়েছে যা একটি সুফি সাধুর চিত্রিত করে। ফ্রেসকোটি ১৮ শতকের শেষের দিকে আঁকা হয়েছিল।

সাংস্কৃতিক গুরুত্ব

হালবেতি তেকে মসজিদটি আলবেনিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি সুফিবাদের একটি শাখা, খলওয়াতি তরিকার ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। মসজিদটি বেরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি শহরের পুরনো অংশে অবস্থিত, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে মনোনীত।

সংরক্ষণ

হালবেতি তেকে মসজিদটি আলবেনিয়ার সরকার দ্বারা সংরক্ষিত। মসজিদটি একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত।মসজিদটি প্রতি বছর পর্যটক এবং স্থানীয়দের দ্বারা পরিদর্শন করা হয়। এটি আলবেনিয়ার সুফিবাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ।

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!