হায়দার হল ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় ক্রাইমট্র্যাজেডি চলচ্চিত্র।[৩][৪][৫][৬] ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক হলেন বিশাল ভরদ্বাজ। উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত হ্যামলেট নাটকের একটি আধুনিক সংস্করণ ও বশরত পীরের স্মৃতিকথা কারফিউড নাইট অবলম্বনে এই ছবির কাহিনী রচনা করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ ও বশরত পীর। ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন শাহিদ কপূর। অন্যান্য প্রধান চরিত্রগুলিতে রূপদান করেন তাবু, শ্রদ্ধা কাপুর ও কে কে মেনন। বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন ইরফান খান। ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৯৫ সালে কাশ্মীরে জঙ্গি সংঘর্ষ ও গণ-অন্তর্ধানের ঘটনা।[৭] ছবির নায়ক হায়দার এক তরুণ ছাত্র ও কবি। কাশ্মীরে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত যখন চরমে, ঠিক সেই সময় নিজের বাবার অন্তর্ধান নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সে ফিরে আসে কাশ্মীরে এবং জড়িয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতির জটিলতার মধ্যে।[৮]
মকবুল (২০০৩) ও ওমকারা (২০০৬) ছবি দু’টির পর হায়দার ছিল বিশাল ভরদ্বাজের শেকসপিয়রীয় ত্রয়ীর তৃতীয় ছবি।[৯]১৯শ বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[১০] ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তিলাভ করে। সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত এই ছবিটি এর বিতর্কিত বিষয়বস্তুর জন্য গণমাধ্যমের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।[৮] এই ছবিতে বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনা, কে কে মেনন, টাবু ও শাহিদ কপূরের অভিনয়, চিত্রনাট্য, সংগীত পরিচালনা ও সম্পাদনাও প্রশংসিত হয় এবং একাধিক পুরস্কার লাভ করে।
হায়দার চলচ্চিত্রের মৌলিক গানের সুর ও আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিশাল ভারদ্বাজ। চলচ্চিত্রে নয়টি গান রয়েছে, যার সাতটি গানের গীত রচনা করেছেন গুলজার এবং "গুলো মে রং ভরে" ও "আজ কে নাম" গানের গীত রচনা করেছেন ফায়ায আহমেদ ফায়েজ। শাহিদ কপুর ও শ্রদ্ধা কাপুর ২০১৪ সালের ২০ আগস্ট রেডিও মির্চি স্টুডিওতে বিশাল ভারদ্বাজের সাথে চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ করেন।[১২] গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ডিজিটাল অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২ অক্টোবর।