স্লোভাকিয়ামধ্য ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। স্লোভাকিয়ার উত্তর-পশ্চিমে চেক প্রজাতন্ত্র, উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে ইউক্রেন, দক্ষিণে হাঙ্গেরি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অস্ট্রিয়া। এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ব্রাতিস্লাভা। দেশটির জনসংখ্যা পঞ্চাশ লাখ।
১০ম শতাব্দী থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত স্লোভাকিয়া হাঙ্গেরির অংশ ছিল। ১৯১৮ সালে এটি চেক অঞ্চল বোহেমিয়া ও মোরাভিয়ার সাথে মিলিত হয়ে ও সাইলেসিয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ সাথে নিয়ে চেকোস্লোভাকিয়া গঠন করে। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে জার্মান স্বৈরশাসক আডল্ফ হিটলারের চাপে দেশটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে, কিন্তু ১৯৪৫ সালে আবার এটি চেকোস্লোভাকিয়ার সাথে মিলিত হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়ার ক্ষমতায় ছিল সোভিয়েত-ধাঁচের সাম্যবাদী সরকার। ১৯৯৩ সালে দেশটি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ায় বিভক্ত হয়ে যায়।
ইতিহাস
রাজনীতি
স্লোভাকিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইনসভার উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।রবার্ট ফিকো ২০০৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
ভূগোল
দেশটির আয়তন ঊনপঞ্চাশ হাজার চৌত্রিশ বর্গকিলোমাটার।এবং দেশটি স্হলবিশিষ্ট যার মানে কোনো বড় জলাভূমি বা সমুদ্রসীমা নেই।
অর্থনীতি
এর অর্থনীতি অবস্থা পর্যটনের ওপরে নির্ভরশীল।আরো বিভিন্ন শিল্পকারখানা সামগ্রী রপ্তানি প্রধান আয়।