সুবল দাস (২৭ ডিসেম্বর, ১৯২৭ - ১৬ আগস্ট, ২০০৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তবে তিনি বেতার ও টেলিভিশনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তার সুরকৃত অসংখ্য গান বেতার ও টেলিভিশনের সঙ্গীতশিল্পীরা পরিবেশন করেন। তার সুরকৃত গান গেয়ে অনেক শিল্পী জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি লাভ করেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
সুবল দাস ১৯২৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রশিকলাল দাস এবং মা কামিনী দাস। পরিবারের আগ্রহেই তিনি সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। তিনি সেতারে তালিম নেন ওস্তাদ খাদেম হোসেন খান এবং ওস্তাদ আয়াত আলী খান এর কাছ থেকে। সঙ্গীতে পারদর্শিতা অর্জন করে তিনি সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। সঙ্গীতের পাশাপাশি ফুটবল খেলায় ঝোঁক ছিল প্রবল। নিয়মিত খেলতেন ঢাকার আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।[১]
কর্মজীবন
সুবল দাস ১৯৫৯ সালে চলচ্চিত্রকার ফতেহ লোহানী পরিচালিত আকাশ আর মাটি চলচ্চিত্রে প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তার সুরকৃত মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া "তবে কি আমার নেই কোন ঠাঁই" গানটি বিপুল প্রশংসিত হয়। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান বেতারের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনের সুরকার হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তিনি কিছু উর্দু চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন।[১] বাংলা চলচ্চিত্রের গানের মধ্যে স্বরলিপি চলচ্চিত্রের "গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে", আলো তুমি আলেয়া চলচ্চিত্রের "আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে", যোগ বিয়োগ চলচ্চিত্রের "এই পৃথিবীর পান্থশালায়" উল্লেখযোগ্য।[২]
চলচ্চিত্রের তালিকা
মৃত্যু
সুবল দাস ২০০৫ সালের ১৬ই আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ