সভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ (জন্ম: ৩১ মে, ১৯৪৮) বেলারুশীয় প্রমিলা সাংবাদিক এবং লেখিকা। তিনি ২০১৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১][২] তিনি বেলারুশের ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।[৩][৪]
৬৭ বছর বয়সী সভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ হলেন চতুর্দশ নারী, যিনি সাহিত্যে নোবেল পেলেন। নিজের দেশে আলেক্সিয়েভিচ সরকারের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিত। আর তিনিই প্রথম সাংবাদিক, যিনি সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পুরস্কার পেলেন। এই লেখিকা এ মনুমন্টে টু সাফারিং অ্যান্ড করেজ ইন আওয়ার টাইম বইয়ের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে আলেক্সিয়েভিচ ১৪তম নারী যিনি এ পুরস্কার পেলেন। পুরস্কারের অর্থমূল্য আট মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার বা নয় লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার।
চেরনোবিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লেখা বইয়ের মাধ্যমেই আলেক্সিয়েভিচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত অর্জন করেন। এই দুই ঘটনার ভয়াবহতা তিনি প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আবেগ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তার সেই বইগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। নোবেল পুরস্কার ছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।[৫]
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১২তম লেখক হিসাবে তার নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমির প্রধান সারা দানিউস বলেন, “আলেক্সিয়েভিচ তার অনন্যসাধারণ লেখনি শৈলীর মাধ্যমে সতর্কভাবে বাছাই করা কিছু কণ্ঠের যে কোলাজ রচনা করেছেন, তা পুরো একটি যুগ সম্পর্কে আমাদের বোধের জগৎকে নিয়ে গেছে আরও গভীরে।" সভেতলানা আলেক্সিয়েভিচের চল্লিশ বছর কেটেছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার পরের সময়ের অসংখ্য মানুষের জীবন কাহিনী শুনে। তবে তার গদ্য কেবল ইতিহাসকে তুলে ধরেনি, ধারণ করেছে মানুষের আবেগের ইতিহাস। প্রায় অর্ধ-শতক পর একজন সাহিত্যিককে এই পুরস্কার দেওয়া হল, যিনি মূলত ‘নন-ফিকশন’ লেখক।