সতী সাধনী ছিলেন শুতীয়া রাজবংশের শেষ রানী ছিলেন। তিনি শুতীয়া রাজ্যের রাজা ধর্মধ্বজপালের কন্যা, রাজা ধর্মধ্বজপালের ধীরনারায়ণ নামেও পরিচিত। সতী সাধনী নিত্যপাল ওরফে নিতাইকে বিয়ে করেন।
ইতিহাস
নিতিপালের শাসন
রাজা হওয়ার আগে নিতিপাল ছিলেন একজন অদক্ষ মানুষ। কীভাবে একটি রাজ্য শাসন করতে হয় তার কোন ধারণা ছিল না, তাই সাধনী দায়িত্ব নিলেন। নিতিপাল অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের বরখাস্ত করেন এবং তার বদলে তার নিজের বন্ধুদের নিয়োগ করেন। প্রাক্তন রাজার ভাই সুরধ্বাজপালের নেতৃত্বে পুরনো মন্ত্রীরা বিদ্রোহ করেছিল। বিদ্রোহ শীঘ্রই চূর্ণ করা হয়। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য এলাকার চুটিয়া প্রধানরা স্বাধীন হয়। এই অদক্ষতা এবং বেপরোয়াতার জন্য নিত্যপাল (নিতাইপাল) নামে পরিচিত হয়ে ছিল। সাদিয়া ছিলেন নির্জন এলাকা এবং রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের চুটিয়া প্রধানদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না।[১]
দিবস
প্রতি বছর ২১শে এপ্রিল আসামে সতী সাধনী দিবস হিসাবে পালিত হয় যাতে শুতীয়া রানীর আত্মত্যাগকে সম্মান করা যায়। আসাম সরকার এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।[২][৩]
পুরস্কার
শুতীয়া জাতি উন্নয়ন পরিষদ সতী সাধনী এওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করে। শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের অসামান্য অবদানে নির্বাচিত ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। উল্লেখ্য শুতীয়া জাতি উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত ব্যক্তিদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।[৪]
তথ্যসূত্র