ক্রিটিক্যাল মাস, ক্রান্তি ভর বা সংকট ভর হলো কোনো ফিসাইল মেটেরিয়ালের (সহজ ভাষায়, যে পদার্থে ফিসন ঘটে) সর্বনিম্ন পরিমাণ, যা (নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে) একটি স্ব-নির্ভরবিক্রিয়া নিউক্লিয়ার চেইন রিঅ্যাকশনের জন্য (চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হয়ে চলতে থাকবে) প্রয়োজন। এটি বেশ কিছু বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে ফিসাইল মেটেরিয়ালের প্রকৃতি, ঘনত্ব, বিশুদ্ধতা, আকৃতি, পরিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি। পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ক্রিটিক্যাল মাস একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।[৩][৪]
ব্যাখ্যা
যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় একটি পরমাণু ভেঙ্গে (জোড়পূর্বক অথবা স্বতঃস্ফূর্ত) একাধিক হালকা ভিন্ন মৌলের পরমাণু তৈরি করে তাকে নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়া বলে। প্রায় সকল ফিশন বিক্রিয়ায়ই মুক্ত নিউট্রন উৎপন্ন হয়। এই নিউট্রনগুলাের আঘাতে আরও নিউক্লিয়াসে ফিশন ঘটতে থাকে এবং চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হয়।
কার্যকর নিউট্রন গুণক, k, হল ফিশন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গড় নিউট্রন সংখ্যা যেগুলো আরো ফিশন ঘটায়।
k < 1 হলে সিস্টেমে কোন চেইন রিঅ্যাকশন টিকতে পারে না। এক্ষেত্রে ফিসাইল ম্যাটেরিয়ালের ভরকে বলা হয় সাবক্রিটিক্যাল মাস।
যখন k = 1 হয়, তখন প্রত্যেক ফিশন গড়ে একটি ফিশন ঘটিয়ে থাকে। ফলে, চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হয় এবং বিক্রিয়ার হার ধ্রুব থাকে। এক্ষেত্রে ফিসাইল ম্যাটেরিয়ালের ভরকে বলা হয় ক্রিটিক্যাল মাস।
k > 1 হলে, বিক্রিয়ার হার ক্রমেই বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে ফিসাইল ম্যাটেরিয়ালের ভরকে বলা হয় সুপারক্রিটিক্যাল মাস। নিউক্লিয়ার বোমার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে থাকে।
একটি কঠিন গোলোকের আয়তন ও পৃষ্ঠের অনুপাত হয় সবচেয়ে বেশি (অন্য কোনো আকৃতির চেয়ে)। তাই, খুব কম ইলেক্ট্রনই এর থেকে পালাতে সক্ষম হয়। ফলে, গোলোকের ক্রিটিক্যাল মাস হয় সবচেয়ে কম। এছাড়াও তাপমাত্রা, ঘনত্ব ইত্যাদির কারণেও ক্রিটিক্যাল মাস বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। নিউট্রন রিফ্লেক্টরের ব্যাবহারেও ক্রিটিক্যাল মাসের পরিমাণ কমে যায়।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রিটিক্যাল মাস সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখা হলেও কিছু তথ্যকে ডিক্লাসিফাইড করা হয়েছে।[৫] নীচে সাধারণ ঘনত্বে কিছু পদার্থের গোলোকের ক্রিটিক্যাল মাসের পরিমাণ দেওয়া হলো:
↑Zeilig, Martin (আগস্ট–সেপ্টেম্বর ১৯৯৫)। "Louis Slotin and 'The Invisible Killer'"। The Beaver। 75 (4): 20–27। ১৬ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০০৮।
↑ কখগDias, Hemanth; Tancock, Nigel; Clayton, Angela (২০০৩)। "Critical Mass Calculations for 241Am, 242mAm and 243Am"(পিডিএফ)। Challenges in the Pursuit of Global Nuclear Criticality Safety। Proceedings of the Seventh International Conference on Nuclear Criticality Safety। II। Tokai, Ibaraki, Japan: Japan Atomic Energy Research Institute। পৃষ্ঠা 618–623।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑ কখগঘঙOkuno, Hiroshi; Kawasaki, Hiromitsu (২০০২)। "Critical and Subcritical Mass Calculations of Curium-243 to -247 Based on JENDL-3.2 for Revision of ANSI/ANS-8.15"। Journal of Nuclear Science and Technology। 39 (10): 1072–1085। ডিওআই:10.1080/18811248.2002.9715296।